ফেনীর সোনাগাজী পৌরসভায় নিম্ন আয়ের মানুষদের মাঝে টিসিবির পণ্য বিক্রিতে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সারাদিন লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও পণ্য না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ ক্রেতারা।
তারা জানান, টিসিবি ডিলার মাসুদ পণ্য বিক্রি না করে তার দোকান থেকে পণ্য বিক্রির অভিযোগ রয়েছে।
তারা জানান, টিসিবির পণ্য কিনতে সকাল ৯টা থেকে তারা অপেক্ষা করলেও ডিলার আসে ১১টার পর। নির্ধারিত সময়ে দেখা মিলছে না ডিলারদের। সরকার সারাদেশে ভর্তুকি মূল্যে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে টিসিবির পণ্য বিক্রি করছে। গত ১৮ ও ১৯ অক্টোবর সকাল থেকে দীর্ঘসময় লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও পণ্য না পেয়ে ফিরে গেছে অনেক মানুষ। সঠিক তদারকি না থাকায় পৌরসভার কাঁচাবাজার সংলগ্ন ডিলার মাসুদের নিজস্ব মুদি দোকানে বিক্রি হচ্ছে এই পণ্য। মুদি দোকানের মালামাল আর টিসিবির পণ্য মিলেমিশে একাকার। বিক্রির রেজিস্টারে নাম থাকলেও স্বাক্ষর নেই অনেক ক্রেতার। অনিয়মকেই যেন নিয়ম করে সাধারণ মানুষকে ঠকাচ্ছেন প্রতিনিয়ত মাসুদ।
আব্দুর রহমান নামে একজন ক্রেতা বলেন, ডিলার মাসুদের নিজস্ব মুদি দোকানে টিসিবি পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। যার কারণে মালামাল চুরি করে বিক্রি করা একেবারেই সহজ। সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বিক্রি করার নিয়ম থাকলেও দুপুরে পণ্য কিনতে আসলে ক্রেতাদের মাঝে মালামাল শেষ হয়ে গেছে বলে ডিলারের লোকজন জানায়। টিসিবির পণ্য বিক্রির এসব অনিয়ম সংশ্লিষ্টদের কেউ দেখছে না।
টিসিবির ডিলার মাসুদ বলেন, টিসিবির ডিলার হতে একটা দোকানের ঠিকানা দেয়া লাগে। তখন আমি আমার দোকানের ঠিকানা দিয়েছি। সে হিসেবে আমার দোকানে বিক্রি করছি। এক পাশে দোকানের মুদি মাল, আরেক পাশে টিসিবির পণ্য বিক্রি করি। ভবিষ্যতে এখানে আর বিক্রি করব না।
স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর জামাল উদ্দিন নয়ন জানান, এর আগেও ডিলার মাসুদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ পেয়েছেন তিনি। সতর্ক করা হলেও সে একই অনিয়ম বার বার করছে।
দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্যাগ অফিসার সাইফুল ইসলাম জানান, তিনি নিয়মিত তদারকি করেন। নিজের মুদি দোকানে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা যাবে কিনা সে বিষয়ে তিনি অবগত নন। ‘ইউএনও সাহেব’ ভাল জানবেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম মনজুরুল হক বলেন, মুদি দোকানে টিসিবি পণ্য বিক্রি করছে বিষয়টা জানি না। মুদি দোকানে বিক্রির সুযোগ নেই। এ বিষয়ে তিনি ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন