২৩ অক্টোবর, ২০২২ ১৪:৫০

শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রশ্নের বিনিময়ে অনৈতিক প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

নেত্রকোনা প্রতিনিধি

শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রশ্নের বিনিময়ে অনৈতিক প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

নেত্রকোনার মদনে এসএসসি নির্বাচনী পরীক্ষার আগে ছাত্রীকে প্রশ্নপত্রের বিনিময়ে অনৈতিক প্রস্তাব দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। তিনি মদন উপজেলার মাঘান ইউনিয়নের চৌধুরী তালে হোসেন মিছিলজান একাডেমীর প্রধান শিক্ষক। 

বিষয়টি শিক্ষার্থীর অভিভাবকমহল ও শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষকের বিচার দাবি করে বিক্ষোভ করেছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

রবিবার দুপুরে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে তারা অভিযোগ করেন, একজন প্রধান শিক্ষকের এমন কর্মকাণ্ডে সকলের মাঝে ক্ষোভ ও ঘৃণার সৃষ্টি হয়েছে। বিক্ষুব্ধ হয়েছেন এলাকার অভিভাবকরাও।

সামজিক যোগাযোগমাধ্যমে শিক্ষকের পাঠানো প্রশ্নপত্রটি রবিবার সকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের শাস্তির দাবি তুলেছেন অনেকেই। 

স্থানীয় লোকজন ও ভুক্তভোগী ছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, নেত্রকোনার মদন উপজেলার চৌধুরী তালে হোসেন মিছিলজান একাডেমীতে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নির্বাচনী পরীক্ষা চলমান। রবিবার (২৩ অক্টোবর) বেলা ২টায় বিদ্যালয়ে গণিত সৃজনশীল পরীক্ষার তারিখ নির্ধারিত ছিল। গত শুক্রবার (২১ অক্টোবর) রাতে এক ছাত্রীর কাছে পাঠিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। এটি দিয়ে ছাত্রীকে প্রেম নিবেদনসহ অনৈতিক মেলামেশার প্রস্তাব দিলে ওই ছাত্রী তার পরিবারের লোকজনকে জানালে বিষয়টি সবার নজরে আসে। ঘটনাটি এলাকার লোকমুখে ছড়িয়ে পড়লে অনেকেই প্রশ্নপত্রটি রবিবার সংগ্রহ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে (ফেসবুক) পোস্ট করেন।

ভুক্তভোগীর ছাত্রীর বড় ভাই বলেন, ‘পরীক্ষার প্রশ্নের বিনিময়ে আমার বোনের সাথে অনৈতিক মেলামেশা করার এমন প্রস্তাব একজন শিক্ষক কী করে দেন? বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষকের রুমে আলাদা সময় না দিলে পরীক্ষার খাতায় নম্বর দিবে না বলে জানান। এতে ভয় পেয়েছে আমার বোন। একজন শিক্ষক এমন আচরণ করবে তা আমরা কখনোই ভাবিনি। আমরা এই শিক্ষকের বিচার চাই’।

অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক জানান, কে বা কাহারা উনার ইমু নম্বর থেকে প্রশ্নপত্রটা ছাত্রীর কাছে পাঠিয়েছে তা তিনি জানেন না। প্রেম নিবেদন ও অনৈতিক প্রস্তাব দেওয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টা সমাধান করার জন্য এলাকার লোকজনের সাথে কথা বলতেছি’।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জি এম শামছুল আলম চৌধুরী কায়কোবাদ জানান, ‘বিষয়টা আমি শুনেছি। এ ব্যাপারে নিউজ করার দরকার নাই’।

উপজেলা একাডেমী সুপারভাইজার জোসনা বেগম জানান, ‘প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে থাকলে পরীক্ষাটি বাতিল করা হবে। ছাত্রীকে অনৈতিক প্রস্তাব দেয়ার বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিক্ষার্থী বা তার পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে’। 


বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর