বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নপচাপ সিত্রাং এর প্রভাবে বরিশালসহ উপকূলীয় এলাকায় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। দুর্যোগ আঘাত হানলে ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টি এবং দ্বীপ ও চরসমূহে ৩ থেকে ৫ ফুট উচ্চতায় প্লাবিত হওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এতে কাঁচা ঘরবাড়ি, ফসল এবং গাছপালা লণ্ডভণ্ড হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন উপকূলের লাখো মানুষ।
সম্ভাব্য বিপদগ্রস্ত মানুষকে সতর্ক করার পাশাপাশি দুর্যোগ পরবর্তী উদ্ধার তৎপরতার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি)।
এদিকে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় উপকূলীয় মানুষকে নিরাপদে নেওয়ার জন্য বিভাগের ৩ হাজার ৯৭৪টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত করা ছাড়াও তাদের জন্য সুপেয় পানি, শুকনা খাবার এবং ওষুধের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় কমিশনার।
বরিশাল নদী বন্দরের ট্রাফিক পরিদর্শক মো. কবির হোসেন জানান, ২ নম্বর সতর্ক সংকেতের কারণে ৬৫ ফুটের কম দৈর্ঘ্যের লঞ্চ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে বরিশালে ৬৫ ফুটের কম দৈর্ঘ্যের লঞ্চ নেই।
ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) বরিশাল বিভাগীয় উপ-পরিচালক মো. শাহাবুদ্দিন মিয়া জানান, ৪ নম্বর সিগন্যাল হলে সিপিপির স্বেচ্ছাসেবকরা পতাকা উত্তোলন এবং মাইকিং করবে। এ লক্ষ্যে বিভাগে ৩২ হাজার ৫শ স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে। আপাতত স্বেচ্ছাসেবকরা লোকমুখে সম্ভাব্য দুর্যোগের বিষয়টি জনগণের মাঝে প্রচার করছে। দুর্যোগ পরবর্তী উদ্ধার তৎপরতার জন্যও স্বেচ্ছাসেবকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বিভাগীয় কমিশনার মো. আমিন-উল আহসান জানান, বিশুদ্ধ পানি, শুকনা খাবার এবং প্রয়োজনীয় ওষুধের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বিশেষ করে বরগুনা এবং পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসনকে যে কোনো পরিস্থিতির জন্য সতর্ক রাখা হয়েছে। এ লক্ষ্যে বিভাগে একটি কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। বিভাগীয় প্রশাসন সার্বিক কার্যক্রম মনিটরিং করছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল