২৯ অক্টোবর রংপুরে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশকে ঘিরে চাঙ্গা অবস্থায় রয়েছে দলের নেতাকর্মীরা। পাঁচ লাখ লোকের সমাগম ঘটানোর লক্ষ্য নিয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীরা মাঠে কাজ করছেন। বিএনপির এই সমাবেশ রংপুর জিলা স্কুলে মাঠে করার পরিকল্পনা থাকলেও এখনও স্কুল কর্তৃপক্ষ অনুমতি দেননি। তাই বিকল্প হিসেবে কালেক্টরেট ঈদগাঁহ মাঠে সমাবেশের প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপি। তবে সেখানেও যদি অনুমতি না পাওয়া যায় তবে বিকল্প স্থান নির্ধারণ করে রেখেছে শীর্ষ নেতারা। বিকল্প স্থানের নাম প্রকাশ হবে সমাবেশের দুই একদিন আগে। এমনটাই জানিয়েছেন দলের নেতারা।
গুম, খুন, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি এবং বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের দাবিতে বিএনপি দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে সমাবেশ করছে। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও খুলনায় সমাবেশ করেছে বিএনপি। এবার রংপুরের সমাবেশ করবে বিএনপির শীর্ষ নেতারা। দেশ্যের অন্যস্থানের সমাবেশে কি ধরণের বাধা সামনে এসেছিল তা মাথায় রেখেই প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। সমাবেশের আগে খুলনা- ময়মনসিংহের মত যদি বাস বন্ধ থাকে সে ক্ষেত্রে করণীয় কী তা ঠিক করে রেখেছে নেতারা। সমাবেশ সফল করতে ইতোমধ্যে রংপুুর বিভাগের ৮ জেলায় এবং বিভিন্ন উপজেলায় প্রস্তুতি সভা করেছে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা।
মূলদল বিএনপি বাদেও যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ অন্য অঙ্গ সংগঠনের নেতারা দিন-রাত কাজ করছেন। বিভিন্নস্থানে বিতরণ করা হচ্ছে লিফলেট। চালানো হচ্ছে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা। সমাবেশের দিন যদি বাস বন্ধ থাকে তা হলে কিছু নেতা আগাম রংপুরে অবস্থান করবেন। তাদের জন্য নগরীর হোটেলের বুকিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। তবে বড় সমস্যা এখন পর্যন্ত স্থান নির্ধারণ করতে না পারা। এনিয়ে দুঃশ্চিন্তায় রয়েছেন নেতারা।
দলের একধিক নেতা-কর্মীর সাথে কথা হলে তারা জানান, সমাবেশকে ঘিরে প্রস্তুতিতে এখন পর্যন্ত কোন প্রকার পুলিশী হয়রানি হয়নি। তবে অনেকে আশঙ্কা করছেন সমাবেশের আগে হয়ত পুলিশী হয়রানির শিকার হতে পারে নেতা-কর্মীরা।
রংপুরের বিএনপিপন্থি একজন আইনজীবীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, গত ৫ বছরে রংপুর বিভাগে ৫০০ বেশি মামলায় ৫০ হাজার নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে দেড় হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে। এখনো অনেকে মামলা মাথায় নিয়ে দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। ওই আইনজীবী বলেন, মামলা, গ্রেফতার আর নির্যাতন করে আন্দোলনকে দমানো যাবে না।
মহানগর বিএনপি’র আহ্বায়ক সামছুজ্জামান সামু বলেন, বিভাগীয় গণসমাবেশ সফল করতে সবধরণের প্রস্তুতি রয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, সমাবেশে ৫ লাখের বেশি লোক সমাগম হবে। তিনি বলেন, জিলা স্কুলের মাঠে অনুমতি পাওয়া যায়নি এখন পর্যন্ত। তবে বিকল্প অন্যস্থানে আমরা সমাবেশ করব। কোন বাধাই সমাবেশ ঠেকাতে পারবে না।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন