ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে বাতাসের গতি ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। সোমবার রাত ১০টার পর থেকে বাতাসের গতি আরো বেড়ে যায়। ঝড়ো বাতাসের কারণে বগুড়া জেলার বিভিন্ন এলাকায় আমনের কাঁচা ধানের ক্ষেত নষ্ট হয়ে যায়। মঙ্গলবার সকাল জেলার বিভিন্ন এলাকায় তেমন ক্ষয়ক্ষতি না হলেও আমনের ক্ষেতে বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উঠতি ফসলের ক্ষতি হওয়ায় ফলন কমে যেতে পারে বলে আশংকা করছে কৃষি বিভাগ।
জানা যায়, বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপটি ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’-এ রূপ নেয়। সিত্রাং এর প্রভাব পড়ে বগুড়ায়। সিত্রাং এর প্রভাবে দিনভর বৃষ্টিপাত হয়। সোমবার দুপুরের পর গুড়িগুড়ি বৃষ্টি ঝড়তে থাকে বগুড়ায়। দিনভর বৃষ্টিপাতে পথে চলাচলকারিদের বিভিন্ন দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বৃষ্টির দিন বগুড়ায় বেশ শীত অনুভুতও হয়। বৃষ্টির সঙ্গে হালকা বাতাসও বয়ে গেছে। জেলা শহরের থানামোড়, সাতমাথা, ইয়াকুবিয়া স্কুল মোড়, কাঠাঁলতলা, চেলোপাড়া মোড়, ফতেহ আলী মোড়, বড়গোলা মোড়ে পথচারিরা যানজটে পড়ে। বিকালে সাধারণ মানুষের চলাচল কমে যায়। তবে শহরের বেশিরভাগ এলাকায় সড়কে কাদা সৃষ্টি হয়। মধ্যরাতে বাতাসের গতি বেড়ে যাওয়ার কারণে বগুড়ার আমনের ক্ষেতের ক্ষয়ক্ষতির সংবাদ পাওয়া যায়। জেলার শাজাহানপুরে বেশ কয়েকটি মাঠে ঝড়ো বাতাসে আমনের ক্ষেতের কাঁচাধান হেলে পড়েছে। জমিতে পানি জমে যাওয়ায় ধান চাষিরা চিন্তিত হয়ে পড়েছে। তবে কৃষি অফিস বলছে, জেলায় মঙ্গলবার সকাল থেকে রোদ দেখা দেওয়ায় তেমন কোন ক্ষতি হবে না।
বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এনামুল হক জানান, ঝড়ো বাতাসের কারণে কয়েকটি এলাকায় আমন ধানের ক্ষেতে অল্প পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি নিরুপনে কাজ চলছে। যে ক্ষতি হয়েছে তা রোদ থাকার কারণে পুষিয়ে যাবে।
বিডি প্রতিদিন/এএম