ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ঘরের উপর গাছ চাপা পড়ে সানজিদা আফ্রিদি (১) নামে এক শিশু মারা গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে শিশুটির মা আমেনা বেগম (২৫)।
এদিকে সিত্রাংয়ের প্রভাবে উপকূলীয় সদর, সুবর্ণচর, কোম্পানীগঞ্জ ও হাতিয়ায় পাঁচ শতাধিক গাছপালা লণ্ডভণ্ড এবং অসংখ্য ঘরবাড়ি বিপর্যস্ত ও জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে। বিভিন্ন সড়কে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রাস্তায় রাস্তায় গাছ পড়ে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ও দুর্ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে।
নিহত শিশু উপজেলার পূর্ব চরবাটা গ্রামের হাবিবিয়া গ্রামের অ্যাডভোকেট আবদুল্লার মেয়ে। সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার পূর্ব চরবাটা গ্রামের হাবিবিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেব প্রিয় দাশ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ওসি বলেন, শিশুটি মায়ের সাথে নিজ শয়ন কক্ষে ঘুমিয়েছিল। রাত আনুমানিক ৩টার দিকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ভারী বাতাসে বসতঘরের পাশে থাকা একটি গাছ তাদের ঘরের ওপর পড়ে। এতে ঘরটি দুমড়েমুচড়ে গিয়ে ঘরে থাকা শিশু ও তার মা চাপা পড়ে। এ ঘটনায় ঘটনাস্থলে মারা যায় শিশুটি।
এদিকে বেড়িবাঁধ না থাকায় হাতিয়ার নিঝুপদ্বীপ, বয়ার চরের পূর্ব ইসলামপুর, চানন্দী ইউনিয়ন, জনতা বাজার, ভূমিহীন বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় অতিরিক্ত জোয়ারের পানি হাজার হাজার মানুষের ঘরে ঢুকে ঘরবাড়ি বিপর্যস্ত ও জোয়ারে ভেসে গেছে। তারা অতি দ্রুত বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানান। এদিকে ক্ষতিগ্রস্তরা এখন পর্যন্ত কোনো ত্রাণ সামগ্রী ও সহযোগিতা পাননি বলে জানিয়েছেন। এছাড়া আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।
এ ব্যাপারে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে তাদের সহযোগিতা করা হবে। এ ব্যাপারে ইউএনও’দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই