ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে গাছপালা ও ফসলের আংশিক ক্ষতি হয়েছে। এতে জেলার বিভিন্ন স্থানে বৈদ্যুতিক খুঁটিও উপড়ে পড়ার পাশাপাশি বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়কে গাছ পড়ে চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। এছাড়া ঘরের উপর গাছ ভেঙে পড়ে একজনের মৃত্যুও হয়েছে। বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে পড়ায় সোমবার রাত থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। পরে মঙ্গলবার সকাল থেকে পুনরায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়। ঝড়ের কারণে জেলার চলতি আমন ধানসহ সবজির ক্ষতি হয়েছে।
কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, জেলায় চলতি মৌসুমে ৯৪৯ হেক্টর জমিতে শীতকালীন বিভিন্ন সবজির আবাদ হয়েছিল। সিত্রাংয়ের কারণে মাসকলাই, ফুলকপি, বাঁধাকপিসহ ৮৩ হেক্টর বিভিন্ন রকম শাকসবজির জমি ঘূর্ণিঝড়ে আক্রান্ত হয়েছে। এছাড়াও চলতি আমন মৌসুমে ৫৪ হাজার ৫০৬ হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ হয়েছে। সিত্রাংয়ের কারণে কোনো কোনো স্থানে জমির ধান গাছ কিছুটা হেলে পড়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক শস্য মুন্সী তোফায়েল হোসেন জানান, আমন ফসল ঘরে তুলতে আরও দুই সপ্তাহ সময় লাগবে। তবে যেসব জমির ধান ৮০ ভাগ পেকেছে সেসব ধান কর্তনের জন্য ব্লক সুপারভাইজারদের মাধ্যমে কৃষকদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যেসব কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হবে প্রণোদনা পাওয়া গেলে তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।
এদিকে জেলার কসবায় ঝড়ে সময় ঘরের উপর গাছ ভেঙে পড়ে জয়নাল আবেদীন ভুইয়া নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। সোমবার গভীর রাতে উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের ধ্বজনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তিনি ওই গ্রামের মৃত সিরাজ মিয়ার ছেলে।
কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদ উল আলম জানান, রাতে প্রচণ্ড ঝড়ের সময় ঘুমন্ত অবস্থায় থাকা জয়নাল আবেদীন ভুইয়ার ঘরের উপর গাছ ভেঙে পড়ে। এতে চাপা পড়ে জয়নালের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় তার স্ত্রী আহত হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা