৩ ডিসেম্বর, ২০২২ ২০:০২

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চাঁদা তোলা নিয়ে দ্বন্দ্বে হামলায় নিহত ১, লুটপাট ভাঙচুর

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চাঁদা তোলা নিয়ে দ্বন্দ্বে হামলায় নিহত ১, লুটপাট ভাঙচুর

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে পিকআপ ট্রাক থেকে চাঁদা উত্তোলনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট বিরোধের জের ধরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রতিপক্ষের হামলায় শীতল মিয়া (৬০) নামক একজন নিহত ও অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। শনিবার দুপুরে উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের মুক্তারপুর গ্রামে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় গ্রামের ৬টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ এবং বেশ কয়েকটি ঘর ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাটের শিকার হয়। 

স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার সলিমগঞ্জ বাজারে মুক্তারামপুর গ্রামের কবির হোসেনের স’মিলের কাঠ পিকআপ ট্রাক থেকে আনলোড শেষে ফিরে যাওয়ার সময় ধরাভাঙ্গা গ্রামের সলিমগঞ্জ বাজারের লাইনম্যান রহিম মিয়া পিকআপ থেকে ২শ টাকা চাঁদা দাবি করে। এ নিয়ে কবির মিয়ার ছেলে ইব্রাহিম মিয়ার সাথে লাইনম্যান রহিম মিয়ার কথা কাটাকাটি হয়। পরে তা হাতাহাতিতে রূপ নেয়। এই ঘটনার জের ধরে শনিবার সকালে মুক্তারামপুর গ্রামের লোকজন ধরাভাঙ্গা গ্রামের চেয়ারম্যানের ছেলে মানিক ও খোকন মিয়াকে বেধড়ক মারধর করে। মারধরের খবরটি ছড়িয়ে পড়লে ধরাভাঙ্গা গ্রামের লোকজন রামদা, বল্লমসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মুক্তারামপুর গ্রামে হামলা চালায়। এসময় প্রতিপক্ষের মুক্তারামপুর গ্রামের পশ্চিম পাড়ার শীতল মিয়াসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়। এছাড়াও হামলাকারীরা ওই গ্রামের ৬টি ঘরে আগুন দেয়াসহ নগদ টাকা স্বর্ণালংকার বিভিন্ন ব্যবহার্য্য জিনিসপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায়। গুরুতর আহতাবস্থায় শীতল মিয়াকে রাজধানী ঢাকায় নেয়ার পথে নরসিংদী পৌঁছালে তার মৃত্যু হয়। 

সংঘর্ষে আহতরা হলেন মুক্তিযোদ্ধা মালেক মিয়া, দুলাল মিয়া মেহেদী হাসান, আমির মিয়া, সুমন মিয়া, রয়েল মিয়া, মোহাম্মদ আলীসহ অন্তত ২০ জন। 

নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরবর্তী বিশৃঙ্খলা এড়াতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পার্শ্ববতী জেলা নরসিংদী হাসপাতালে রয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা চলমান রয়েছে।


বিডি প্রতিদিন/হিমেল 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর