সাত বছর পর অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ শেরপুর জেলার ত্রিবার্ষিক সম্মেলন। সম্মেলনে তৃতীয়বারের মতো জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয় সংসদের হুইপ, সদর আসনের পাঁচবারের এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিউর রহমান আতিক। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ছানুয়ার হোসেন ছানু।
সম্মেলন উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় শেরপুর শহীদ দারোগা আলী পৌরপার্ক মাঠে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, কবুতর ও বেলুন উড়িয়ে সম্মেলন উদ্বোধন করা হয়।
সম্মেলনে ভিডিও কনফারেন্সে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে প্রথম অধিবেশন শেষে জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। এরপর দ্বিতীয় অধিবেশনে ভার্চুয়ালি নতুন কমিটি ঘোষণা করেন প্রধান অতিথি দলের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এসময় ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপিকে বিশ্বাস করা যায় না। বিএনপি আন্দোলনের নামে নাশকতা, পুলিশের ওপর হামলা ও বাস পোড়াচ্ছে, তাই বিএনপির সঙ্গে আওয়ামী লীগের খেলা হবে। গতকালও বিএনপি জনগণের ট্যাক্সের টাকায় কেনা সরকারি বিআরটিসি বাস পুড়িয়ে দিয়েছে। আন্দোলনের নামে নাশকতা করছে বিএনপি।
তিনি আরও বলেন, আমরা অনেক সহ্য করেছি। দেয়ালে আমাদের পিঠ ঠেকে গেছে। শেরপুরের জনগণ প্রস্তত হয়ে যান। তাদের প্রতিরোধ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় আজ থেকে প্রতিটি গ্রামে, ইউনিয়নে, উপজেলা, জেলা শহরে সর্তক থাকতে হবে। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশকে আগামীতে স্মার্ট বাংলাদেশ বানাব।
এসময় কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দেশে কোনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসবে না, বর্তমান সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে। জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারতসহ বিশ্বের সব উন্নত দেশেই যে সরকার ক্ষমতায় থাকে, তাদের অধীনেই নির্বাচন হয়। নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সরকার সুষ্ঠু নির্বাচন করতে কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা করবে।
তিনি বলেন, কোনো আন্দোলন সংগ্রামে সরকারের পতন করা যাবে না। ১০ তারিখে নাকি লাল কার্ড দেখাবে। তাদের উদ্দেশ্য সফল হবে না। সরকার পতনের নাম করে ১০ ডিসেম্বর দেশে যারা বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর ব্যবস্থা নেবে। দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করছে বিএনপি ও স্বাধীনতাবিরোধী চক্র। এ চেষ্টা কাল পুলিশ নস্যাৎ করে দিয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুইপ আতিউর রহমান আতিকের সভাপতিত্বে সম্মেলনে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, সদস্য মারুফা আক্তার পপি ও রেমন্ড আরেং, শেরপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য একেএম ফজলুল হক চাঁনসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী রঙবেরঙের গেঞ্জি ও ক্যাপ পরে সম্মেলনস্থলে উপস্থিত হন।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ১৯ মে জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলনে সদর আসনের এমপি হুইপ আতিউর রহমান আতিককে সভাপতি এবং অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পালকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি ঘোষণা করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ