নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের জামপুর ইউনিয়নের কদমতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাদেক আলীর (৬০) বিরুদ্ধে শিশু শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে সোনারগাঁও থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনার পর ওই প্রধান শিক্ষক মোবাইল বন্ধ করে আত্মগোপনে চলে যান।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সোনারগাঁও থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আহসানউল্লাহ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের ২৩ নম্বর কদমতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাদেক আলী। তিনি ওই স্কুলের শিশু শ্রেণির এক ছাত্রীকে তার কক্ষে ধর্ষণ চেষ্টা চালায়। একপর্যায়ে ওই ছাত্রী চিৎকার শুরু করলে তার মা গিয়ে দেখে ফেলে। এসময় প্রতিবাদ করলে ওই প্রধান শিক্ষক বিষয়টি জানাজানি না করার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর মা বলেন, এক বছর আগে তার মেয়েকে এই স্কুলে শিশু শ্রেণিতে ভর্তি করান। গত এক বছর ধরে তিনি তার মেয়েকে স্কুলে নিয়ে যান। ক্লাসে বসিয়ে রেখে তিনি বাইরে অপেক্ষা করেন। বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তার মেয়েকে ক্লাসে রেখে তিনি বাইরে চলে আসেন। এক পর্যায়ে তার মেয়ের কান্নার শব্দ শুনতে পান। সেখানে গিয়ে তিনি দেখতে পান তার মেয়েকে জড়িয়ে ধরে প্রধান শিক্ষক অপকর্ম করার চেষ্টা করেন।
তিনি আরও বলেন, তার মেয়ের কাছে জানতে পারেন এর আগেও প্রধান শিক্ষক একাধিকবার তার মেয়ের সঙ্গে এ অপকর্ম করেছেন।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক সাদেক আলীর মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। ক্ষুদে বার্তা দিয়েও কোনো সাড়া মেলেনি।
সোনরাগাঁও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দৌলতর রহমান বলেন, বিষয়টি অবগত আছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
সোনারগাঁও থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আহসানউল্লাহ বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করার জন্য তালতলা ফাঁড়ি পুলিশকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই