ঝিনাইদহে নতুন পদ্ধতিতে বোরো মৌসুমে ধানের চারা তৈরি করে সফল হয়েছেন কৃষকেরা। শীতকালে বীজ তলায় বোরো ধানের চারা উৎপাদনের সময় প্রচন্ড ঠান্ডা ও ঘন কুয়াশা পড়ে এবং তীব্র শৈত্য প্রবাহ দেখা দেয়। সে কারনে বোরো ধানের বীজতলায় ধানের চারা তৈরি করতে পলিথিন ব্যবহার করছেন কৃষকেরা। এতে যে পরিমাণ তাপের দরকার সে পরিমাণ তাপ সৃষ্টি হচ্ছে। এর ফলে প্রতিটি বীজতলায় ধানের চারা পরিপূর্ন ভাবে ফুটেছে। জেলার ৬টি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও গ্রামের মাঠে সরেজমিনে ঘুরে এসব চিত্র লক্ষ্য করা গেছে।
জানা গেছে, শীত মৌসুমে বোরো ধানের শুকনো বীজ একটানা এক থেকে দুইদিন ভিজিয়ে রেখে ৪৮/৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত জাগ দিতে হয়। এ ক্ষেত্রে হালকা রোদ এবং আলো-বাতাসপূর্ণ স্থানে মাটিতে পাটের তৈরি বস্তা বা খড় বিছিয়ে তার উপর ভারি জাতীয় কিছু চাপা দিয়ে রাখতে হয়। এতে ধান বীজের ভ্রুণজাগরিত হয়,খোসা নরম হয়, ভ্রু মূলকে অংকুরিত করে। ফলে বীজের ঘুম ভেংগে যায়। ভালোভাবে অংকুরিত বীজ সহজে বীজতলায় চারা উৎপাদন করতে পারে।
এব্যাপারে ঝিনাইদহ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ আজগর আলী জানান, এবছর ৪১ হাজার ৪শত চাষীকে ১ বিঘা জমির জন্য বীজতলা বাবদ হাইব্রীড জাতের ধান বীজ দিয়েছি। এই হাইব্রীড ধান ভাল ফলন হলেও একবার চাষ করা যায় এবং এর কোন বীজ তৈরী করা যায় না। উচ্ছ ফলনশীল উফসী জাতের ৫ কেজি ধান বীজ এবং ১০ কেজি ডিএপি সার ও ১০ কেজি এমওপি সার বিতরণ করেছি। এজাতের ধানের বীজ তৈরী করা সম্ভব। তিনি আরো জানান সংশ্লিষ্ট উপজেলা পর্যায়ের কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছি। তারা শীত ও কুয়াশা রক্ষার জন্য পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে দিবে। সকাল ১১টার দিকে পলিথিন তুলে নিবে ও ঠান্ডা পানি বের করে গরম পানি ব্যবহার করবে। এমৌসুমে বীজতলার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৫ শত ১৩ হেক্টর জমিতে। এ পর্যন্ত অর্জিত হয়েছে ৩ হাজার ৬ শত ১৫ হেক্টর জমি। বিডি প্রতিদিন/এএ