২৭ ডিসেম্বর সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ইভিএমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ভোটকে কেন্দ্র করে নগরীকে আটস্তরের নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা হয়েছে। সহিংসতা এড়াতে ৩৩ টি ওয়ার্ডকে কয়েকটি জোনে ভাগ করে নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। মাঠে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। নির্বাচনকে ঘিরে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, ভ্রাম্যমান আদালত, গোয়েন্দা নজরদারি , মোড়ে মোড়ে চেকপোস্ট, রিজার্ভ ফোর্সসহ আট ধরণের নিরাপত্তা বলয় তৈরী করা হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু হয় এজন্য বিভিন্ন ধরনের নিরাপত্তা বলয় তৈরী করা হয়েছে। নির্বাচনে ২২৯ টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৮৬ টি ভোট কেন্দ্রকে ঝুকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব কেন্দ্র কঠোর নজরদারির মধ্যে রাখা হবে। ঝুঁকিপূর্ণ এসব কেন্দ্রে ৪ জন পুলিশ, ৬ জন পুরুষ আনসার,৪ জন নারী আনসার ও দুইজন অস্ত্রধারি আনসার আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র ছাড়া সাধারণ কেন্দ্রের জন্য ৩ জন পুলিশ সদস্য, ১০ জন নারী ও পুরুষ আনসার ও দুইজন অস্ত্রধারি এপিবিএন সদস্য নিয়োগ করা হয়েছে।
এছাড়া নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডে র্যাবের ১৭টি টিম কাজ করবে। ১৯টি বিজিবি টিম সার্বক্ষনিক নির্বাচনি শৃঙ্খলা বজায় রাথতে মাঠে থাকবে। ৩৩টি ওয়ার্ডে ৩৩টি মোবাইল টিম থাকবে। এছাড়া ১৬ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট থাকবেন। তারা ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করতে পারবেন। তাদের বিচারিক ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। এছাড়া সারা শহরে সাদা পোষাকে গোয়েন্দা নজরদারির জাল বিছানো হয়েছে। নগরীর গুরুত্বর্পূণ পয়েন্টগুলোতে চেক পোস্ট বসানো হয়েছে। কেউ যাতে বেআইনী কিছু করে পালিযে যেতে না পারে এজন্য প্রস্তুত থাকবে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। এধনের ৮ ধরণের নিরাপত্তা কাঠামো তৈরী করা হয়েছে নির্বাচনকে ঘিরে। পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি মিলে দুই হাজারে বেশি সদস্য মাঠে নামানো থাকবে। এছাড়া কয়েকশত পুলিশকে রির্জাভ রাখা হয়েছে।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেন বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত করেছে। কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে তা কঠোর হস্তে দমন করা হবে।
নির্বাচনে ৯ জন মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন। এছাড়া সংরক্ষিত কাউন্সিলর ৬৮ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর ১৮৩ জনসহ মোট ২৬০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এদিকে ৯ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর নগরীতে দুইএকটি বিচ্ছন্ন ঘটনা ছাড়া তেমন একটা বড় ধরণের ঘটনা ঘটেনি। আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থীরা পরস্পর বাকযুদ্ধে লিপ্ত থাকলেও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে একজন কাউন্সিলর প্রার্থীকে শুধু জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া তেমন একটা আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেননি প্রার্থীরা। সব মিলিয়ে দেখাগেছে মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবেই প্রার্থীরা তাদের প্রচারণা শেষ করেছেন। এখন নগরবাসি অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছেন একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের।
বিডি প্রতিদিন/এএ