লক্ষ্মীপুরে গাড়ি ভাঙচুর, ককটেল বিস্ফোরণ ও সরকারি সম্পদ বিনষ্টের চেষ্টার ঘটনায় জামায়াত-শিবিরের ২৭১ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এরমধ্যে এজাহারভুক্ত দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার দুপুর দেড়টার দিকে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শনিবার রাতে সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আল-আমিন মামলাটি দায়ের করেন। এতে ২১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২৫০ জনকে আসামি করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মামলায় ৫ নং অভিযুক্ত মো. সোহেল ও ১৬ নং অভিযুক্ত মাওলানা মোঃ ইসমাইল। দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
অন্য আসামিরা হলেন- জেলা জামায়াতের প্রচার সম্পাদক ফারুক নুরনবী, লক্ষ্মীপুর পৌর জামায়াতের সভাপতি আবুল ফারাহ নিশান, জামায়াত নেতা হুমায়ুন কবির, আনাস কামাল, আবু শরীফ মোহাম্মদ ইয়াকুব, মো. ইলিয়াস, ফারুকসহ ২১ জন ও অজ্ঞাত আরও ২৫০ জন।
এজাহার সূত্র জানায়, অভিযুক্তরা সদর উপজেলার পিয়ারাপুর ব্রিজের ওপর লক্ষ্মীপুর-রামগতি সড়কে শনিবার ভোরে জড়ো হয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এসময় কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করা হয়েছে। ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতংক সৃষ্টি ও সরকারি সম্পদ পিয়ারাপুর ব্রিজের ক্ষতির চেষ্টা করে অভিযুক্তরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যায়। স্থানীয়দের মোবাইলে ধারণকৃত স্থিরচিত্র দেখে এজাহারনামীয় আসামিদের শনাক্ত করা হয়।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, জামায়াত-শিবিরের লোকজন জড়ো হয়ে গাড়ি ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। তারা সরকারি সম্পদের ক্ষতিসাধনে চেষ্টা করে। বিস্ফোরক ও নাশকতার ঘটনার মামলায় ২ জনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ