আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় দিনাজপুরের মাঠে মাঠে সরিষা ফুলের হাসি। দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটসহ বিভিন্ন উপজেলায় চাষ হচ্ছে সরিষা। এবার ঘোড়াঘাটে প্রথম বারের মত উপজেলা কৃষি অফিসের সহায়তায় বারি-১৮ জাতের সরিষার চাষসহ রেকর্ড পরিমাণ জমিতে সরিষার চাষ করেছেন কৃষকেরা। সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনায় কৃষকের চোখে মুখে আনন্দের হাসি ফুটে উঠেছে।
ঘোড়াঘাট উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, চলতি মৌসুমে ঘোড়াঘাট উপজেলায় প্রথমবারের মত বারি-১৮ জাতসহ বারি-১৪, বারি-১৭, বারি-৯ ও বিএডিসি-১ জাতের সরিষার চাষ করা হয়েছে ২ হাজার ২’শত হেক্টর জমিতে।
যা গত বছরের তুলনায় বেশি। গত মৌসুমে সরিষার আবাদ হয়েছিল ১১৭০ হেক্টর জমিতে। এ বছর হেক্টর প্রতি ফলন গত বছরের তুলনায় বেশি হবার সম্ভাবনাও রয়েছে বলে মনে করছেন কৃষি বিভাগ।
বিভিন্ন এলাকা সরজমিনে দেখা যায়-ফসলের মাঠগুলো সরিষা ফুলের হলুদ রঙে অপরূপ শোভা ধারণ করেছে। মাঠে পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত কৃষকেরা। ধান বা অন্য ফসলের তুলনায় লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা দিন দিন সরিষা চাষে ঝুঁকে পড়ছে।
ঘোড়াঘাটের কুলানন্দপুর গ্রামের সাফিউল আলম বলেন, কয়েকবছর আগেও তাদের জমি পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকত, কিন্তু বর্তমানে কৃষি বিভাগের পরামর্শে তারা এখন ওই জমিতে সরিষা চাষ করছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মোঃ রুহুল আমিন বারি-১৮ জাতের সরিষা সম্পর্কে বলেন, ভোজ্য তেলের জন্য সবচেয়ে উপযোগী এ জাতের সরিষা। ফলন বিঘায় ১০মনের উপরে। এই জাতের সরিষায় কোলেস্টরলের মাত্রা অত্যন্ত কম।তাই হৃদ রোগী গণ এই তেল খেতে পারবেন। এ সরিষার তেল কানাডার কেনুলা মান পরীক্ষায় প্রত্যায়িত।
ঘোড়াঘাট উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ এখলাস হোসেন সরকার জানান, প্রণোদনার আওতায় আমরা ২৩০০ জন কৃষককে বীজ ও সার সরবরাহ করেছি। পাশাপাশি তাদের নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। এ অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া সরিষা চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় দিন দিন কৃষকেরা সরিষা চাষে ঝুঁকছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ