পৌষে দিনাজপুরের বিভিন্ন স্থানে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে দুশ্চিন্তায় কৃষক। বিশেষ করে অসময়ের এই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির কারণে এ অঞ্চলের আলু, গম, সরিষা চাষীরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। হিমেল বাতাস আর কুয়াশায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা।
সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে হঠাৎ দেখা যায় আকাশ মেঘাচ্ছন্ন, দেখা মিলেনি সূর্যের। শুরু হয় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। তবে বৃষ্টি অল্প সময় ছিল। আবার একেক স্থানে কমবেশী হয়েছে। দিনাজপুর সদরসহ হাকিমপুর, বিরামপুর, ফুলবাড়ীসহ কয়েক স্থানে এই বৃষ্টি হয়। তবে বৃষ্টির পর সূর্যের দেখা মিলে এবং দিনের তাপমাত্রাও বাড়ে। বিকালের পর থেকে তাপমাত্রা আবার কমার সাথে কনকনে শীত অনুভুত হয়ে বাড়তে থাকে। সন্ধার পরই নামতে থাকে শীতের সাথে কুয়াশা। এতে নিম্ন আয়ের ও খেটে খাওয়ারা মানুষেরা পড়েছে বিপাকে।
আবহাওয়ার অফিসের তথ্য মতে, সোমবার সকাল ৬টায় দিনাজপুরে ১৫ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রেকর্ড করা হয়। বাতাসের আদ্রতা ৯৫ ভাগ। চলতি সপ্তাহে জেলায় স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হতে পারে। এছাড়া এই মাসে জেলার ওপর দিয়ে দুটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান জানান, রবিবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রের্কড করা হয়েছে। রবিবারের চেয়ে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বিভিন্ন এলাকায় কিছু সময় ধরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম