টাঙ্গাইলের সখীপুরে ঘরে বসে নকশীকাঁথা তৈরি, রং-বেরঙের সুতা ও পুঁতি দিয়ে থ্রি পিস, শাড়িতে নকশা করা, জামা কাপড় তৈরি এবং বিভিন্ন ধরনের শো পিস তৈরির মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করছেন গ্রামীণ নারীরা। বিভিন্ন অনলাইনে ও বাড়িতে ছোটখাটো দোকান সাজিয়ে বিক্রি করছেন নিজেদের তৈরি জিনিসপত্র।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর থেকে তিন মাসব্যাপী একটি প্রশিক্ষণ নিয়ে এসব তৈরি করছেন বলে জানিয়েছেন গ্রামীণ নারীরা। প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রায় দেড়শত নারী ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হয়েছে বলে জানায় উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর।
প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, বন্ধের দিন ছড়া প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ফ্যাশন ডিজাইন ও ক্রিস্টাল শো-পিস এবং মোমবাতি তৈরির প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা গ্রামীণ নারীরা।
পারুল আক্তার নামে এক নারী বলেন, উপজেলা থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে বাড়িতেই একটি দোকান দিয়েছি। সেখানে জামা কাপড় ও থ্রি পিস তৈরি, ডিজাইন এবং নকশীকাঁথা তৈরি করে মাসে প্রায় ১৫ হাজার টাকা আয় হয়। তা দিয়ে ছেলেমেয়েকে লেখাপড়া করাই। আমার স্বামী নাই, এই দোকানই আমার সম্বল।
পৌর এলাকার সবিতা রানী বলেন, দেয়ালে ঝুলানো বিভিন্ন ধরনের লেখা, ছবি, মহিলাদের ভ্যানিটি ভ্যাগ ও শো-পিস তৈরি করছি তিন বছর ধরে। প্রতি মাসে সাত থেকে আট হাজার টাকার মতো আয় হয়। দরিদ্র পরিবারের জন্য এটা আমার অনেক কিছু।
ফারহানা হক শান্তা বলেন, প্রশিক্ষণ শেষে আমি নিজেকে একজন উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলেছি। আমি বাচ্চাদের বিভিন্ন ধরণের আকর্ষণীয় জামা-কাপড় তৈরি করি, আমার একটা অনলাইন পেইজ আছে, সেখানে এসব অর্ডার হয়। বিগত ছয় মাসে আমার দেড় লাখ টাকার মতো বিক্রি হয়েছে।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফিরোজা আক্তার বলেন, উপজেলা পর্যায়ে মহিলাদের জন্য আয়বর্ধক প্রশিক্ষণ (আইজিএ) প্রকল্পের আওতায় এই এলাকার পিছিয়ে পড়া গ্রামীণ নারীদের ষাট কর্মদিবস প্রশিক্ষণ শেষে ১২ হাজার টাকা এবং সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। যা দিয়ে অনেক নারী উদ্যোক্তা হয়ে যাচ্ছে এবং তারা ঘরে বসেই অর্থ উপার্জন করছেন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই