মাদারীপুরের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই নেতার দ্বন্দ্বের জের ধরে কামাল হোসেন মাদবর নামে একজন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আরো কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। এসময় কয়েক ডজন বোমা বিস্ফোরণসহ বেশ কিছু বাড়ি ঘর ভাংচুর চালানো হয়। শনিবার দুপুরে এই ঘটনা ঘটেছে। নিহত কামাল মাদবর (৫০) মাদারীপুর সদর উপজেলার গাছবাড়িয়া গ্রামের সলেমান মাদবরের ছেলে। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও পেয়ারপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান খানের সাথে মাদারীপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক লাভলু তালুকদারের সাথে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন থেকেই দ্বন্দ্ব চলে আসছে। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন থেকে এই দ্বন্দ্ব আরও প্রকট রুপ ধারন করে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পেয়ারপুর ইউনিয়নে দুইনেতা একে অপরের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। নির্বাচনের সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক লাভলু তালুকদার বিজয়ী হয়। এইসব ঘটনার জের ধরেই দুই নেতার মাঝে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। শনিবার দুপুরে এইসব দ্বন্দ্বে জের ধরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, বোমাবাজি ও বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এসময় দুই পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছে। আহদের মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দ্বন্দ্ব চলাকালেই কামাল মাদবর গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কামালকে মৃত ঘোষণা করে। নিহতের ঘটনায় দুই পক্ষ থেকেই একে অপরকে দোষারোপ করে আসছে।
পেয়ারপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান লাভলু তালুকদার দাবী করেন, তার সমর্থক কামাল মাদবরকে সাবেক চেয়ারম্যানের লোকজন কুপিয়ে হত্যা করেছে। তিনি এর বিচার দাবী করেন। অপর দিকে সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মজিবুর রহমান খানের দাবী লাভলু তালুকদার নিজেদের লোক দিয়ে হত্যা করিয়ে এখন দায় চাপাচ্ছে তার ওপর। এই হত্যাকান্ডের সাথে তার লোকজন জড়িত নয় বলেও দাবী করেন তিনি। তিনি এই হত্যাকান্ডের সুষ্ঠ তদন্ত দাবী করেন।
মাদারীপুর সদর থানার ওসি মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিয়ন্ত্রণে এনেছে। এই ঘটনায় নিহত কামাল মাদবরের পরিবার থেকে মামলা দিলেই পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবে।
বিডি প্রতিদিন/এএ