বিশ দিনের ব্যবধানে শেরপুরের অবৈধ ষোল ইটভাটায় সাড়াশি অভিযান পরিচালনা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এর আগে ২৮ ডিসেম্বর শেরপুর শ্রীবরদী উপজেলার ৬টি অবৈধ ব্রিকস এ অভিযান চালিয়ে ১৮ লাখ টাকা জরিমানা করে এই আদালত। আজ বুধবার দিনব্যাপী শেরপুর সদরে অভিযান পরিচালনা করা হয়। দিনব্যাপী এই অভিযানে ষোল ইটভাটাকে ৪১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।
সদর উপজেলার ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, আরএইচ এর দুইটি ব্রিকসকে ৮ লাখ, একেবি ব্রিকসকে ৩ লাখ, জিহান ব্রিকসকে ৩ লাখ, সাউদা ব্রিকসকে ৫ লাখ, সততা এর দুইটি ব্রিকসকে ৫ লাখ, মদিনা ব্রিকসকে ২ লাখ, লিটন ব্রিকস'কে ২ লাখ, আরএসবি ব্রিকসকে ১ লাখ, এছাড়াও মুন ব্রিকস, এএইচ-২৩ ব্রিকস, আশিকা ব্রিকস, এইচ এ বি ব্রিকস, ইউএনবি ব্রিকস ও এএমবি নামে প্রত্যেক ব্রিকসকে ২ লাখ করে মোট ৪১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অভিযান পরিচালনা করেন ময়মনসিংহ বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.রুবেল মাহমুদ, প্রসিকিউশনের দ্বায়িত্ব পালন করেছেন শেরপুর জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক সুশীল কুমার দাস। ঝটিকা এই ভ্রাম্যমান আদালতকে সহযোগীতা করেন শেরপুর জেলা পুলিশ।
জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, শেরপুর জেলায় চালু থাকা ৬২টি ইটভাটার মধ্যে ৫৮টিই চলছে অবৈধ। উচ্চ আদালত দেশের সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধের নির্দেশ দেন। ওই নির্দেশ মোতাবেক অবৈধ ইটভাটার তালিকা করে বন্ধের কাজ শুরু করে জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর। জেলায় এত সংখ্যক ইট ভাটা দীর্ঘ দিন ধরে প্রভাবশালিরা চালিয়ে আসলেও রহস্য জনক কারণে নিয়ন্ত্রণকারি কর্তৃপক্ষ কার্যকরি ব্যবস্থা নেয়নি। সরকার পরিবেশ বান্ধব ইট ভাটা তৈরির নির্দেশনা দিলেও সেই সনাতন পদ্ধতিতেই চলছে ইট বানানোর কার্যক্রম। পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে বারবার তাগিদ দিলেও প্রভাবশালি মালিকরা কর্ণপাত করেনি। উল্লেখিত অবৈধ ইট ভাটার মধ্যে অন্তত ২৫টি ইট ভাটা চলছে শেরপুর পৌর এলাকায়।
ময়মনসিংহ বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রুবেল মাহমুদ জানান, যথার্থ কারন ও আইনের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। ওই সব ভাটার পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন ছাড়পত্র নেই। এগুলো অবৈধভাবে পরিচালিত হচ্ছিল। জেলায় আরও অনেক অবৈধ ইটভাটা আছে। সেগুলো বন্ধে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান পরিবেশ অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা।