দিনাজপুরের বিভিন্ন উপজেলায় খাদ্য অধিদপ্তরের অধীনে সংগ্রহ অভিযান চললেও ফুলবাড়ীতে ধান সংগ্রহে ব্যর্থ হয়েছে। সংগ্রহ অভিযান উদ্বোধনের দিন ছাড়া দেড় মাস পার হলেও এক ছটাক ধানও সংগ্রহ করতে পারেনি ফুলবাড়ী উপজেলা খাদ্য অফিস।
ফুলবাড়ী উপজেলার কৃষকের কাছ থেকে ২৮ টাকা কেজি দরে ১ হাজার ৬ মেট্রিক টন ধান এবং ৪২ টাকা কেজি দরে মিলারদের কাছ থেকে ২ হাজার ৭৪৯ দশমিক ১১০ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা। গত বছরের ২৯ নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে ২৮ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে এ সংগ্রহ অভিযান। তবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ধান সংগ্রহ হয়েছে উদ্বোধনের সময়ের এক মেট্রিক টন। আর চাল সংগ্রহ হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার ৯৫ শতাংশ।
ধানের বাজারে ধানের দাম চড়া হওয়ায় এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এতে চলতি আমন মৌসুমে সরকারিভাবে ধান ও চাল সংগ্রহ অভিযানে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। তবে ধান সংগ্রহে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হলেও চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলে ফুলবাড়ী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. মঈন উদ্দিন জানান।
ফুলবাড়ী পৌর ধানের বাজারসহ বারাইহাট, আমডুঙ্গি, রাঙামাটি, মেলাবাড়ী, মাদিলাহাট, আটপুকুর ও পুকুরীহাটে দেখা যায়, প্রত্যেকটি ধানের হাট-বাজারে ধানের দাম চড়া। সরকারি নির্ধারিত ক্রয় মূল্যের চেয়ে প্রতি কেজিতে ২ থেকে ৪ টাকা বেশি দামে ধান বিক্রি হচ্ছে।
জানা যায়, ফুলবাড়ী উপজেলায় ১২টি অটোরাইসমিল, একটি মেজর রাইস মিলসহ ১৪৩টি হাসকিং মিল রয়েছে। সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে মাত্র ৯১টি মিল। এরমধ্যে ১০টি অটোরাইসমিলসহ ৮১টি হাসকিং মিল রয়েছে।
ফুলবাড়ী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. মঈন উদ্দিন বলেন, গত বছরের ২৯ নভেম্বর এক মেট্রিক টন ধান ও এক মেট্রিক টন চাল সংগ্রহের মাধ্যমে সংগ্রহ অভিযান উদ্বোধন করা হয়। কিন্তু এরপর বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আর এক কেজি ধানও সংগ্রহ করা যায়নি। তবে চাল সংগ্রহ হয়েছেন লক্ষ্যমাত্রার ৯৫ শতাংশ। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চাল সংগ্রহে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হলেও ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে না।
বিডি প্রতিদিন/এএ