রংপুরে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার দুপুরে বদরগঞ্জ উপজেলার শান্তি বাজারে এলাকাবাসীর আয়োজনে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচিতে বলা হয়, গত ২ বছর আগে বদরগঞ্জ উপজেলার ১নং ওয়ার্ডের শান্তিবাাজার এলাকায় মাজেদ মেম্বার ও তার মামাতো ভাই শহিদুল জিবিএল-২ নামে ইট ভাটার ব্যবসা শুরু করেন। এক পর্যায়ে ব্যবসা পরিচালনায় শহিদুল প্রায় ৫০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে। পরবর্তীতে আঃ মাজেদ মেম্বার ৫০ লাখ টাকার হিসাব চাইতে গেলে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। পরে ইটভাটা সমিতি ও পৌর মেয়রের চেষ্টায় শহিদুল ৬০ লাখ টাকার বিনিময়ে ভাটা আঃ মাজেন মেম্বারের নিকট বিক্রি করে। কিন্তু তার এই আত্মসাৎ এর ঘটনা প্রকাশিত হওয়ায় মাজেদের মামা ও শহিদুলের পিতা জয়নাল আবেদীন মাজেদ মেঘারের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে প্রাণনাশের এবং মামলা হামলার হুমকি দেন। এরই প্রেক্ষিতে গত বছরের ২৫ আগস্ট মাজেদ মেম্বারের পক্ষে তার ছেলে মাহমুদুল হাসান একটি ১০৭ ধারায় মামলা করেন। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে চলতি ভচরের ১৩জানুয়ারী এলাকাবাসী আবু মুসা ও মশিউরের পারিবারিক বিবাদকে কেন্দ্র করে আঃ মাজেদ মেম্বারের সমর্থকদের উপর হামলা, ঘরবাড়ী, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করে। পরে মাজেদ মেম্বারসহ ২২ জনের নামে মামলা করেন। যে মামলায় মাজেদ মেম্বার কারাগারে আছেন।
বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন মাজেদের স্ত্রী এজমা বেগম, মেয়ে মুশফিকা, এলাকাবাসী মোসলেম, মশিউর, আতিক, শাহিনুর, লোকমান, মান্নান, নাজমা খাতুন, রফিকুল, জাহাঙ্গীর প্রমূখ। তারা বলেন, অন্যায় করে জয়নাল আবেদীন ঘটনাটিকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য তার নিজস্ব লোক দিয়ে নিজেদের কিছু ঘর-বাড়ী ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সামান্য ভেঙ্গে এর সম্পূর্ণ দায় মাজেদ ও তার সমর্থকদের উপর চাপিয়ে মিথ্যে মামলা করে।
বদরগঞ্জ থানার এসআই মকবুল হোসেন বলেন, মাজেদ মেম্বার ও জয়নাল ওনারা আত্মীয়, ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুটি মামলা থানায় হয়েছে। দুই পক্ষের দুজন কারাগারে রয়েছে। বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি।
বিডি প্রতিদিন/এএ