২৭ জানুয়ারি, ২০২৩ ১৮:৫১

কুড়িগ্রামে শিক্ষককে মারধরের ঘটনায় এক আসামি গ্রেফতার

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামে শিক্ষককে মারধরের ঘটনায় এক আসামি গ্রেফতার

কুড়িগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক আব্দুল হাই সিদ্দিকীকে মারধরের ঘটনার চার দিন পর নূর মোহাম্মদ সাবিরি লিটন নামের এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে সদর থানা পুলিশ।

সিসিটিভির ফুটেজ দেখে মারপিটের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বিশেষ অভিযান চালায় সদর থানা পুলিশ। অভিযুক্ত আসামি লিটনকে গ্রেফতার করা হয়। তবে লিটন ছাড়া এজাহারভুক্ত অন্য আসামিদের ধরতে পারেনি পুলিশ। 

সদর থানার অফিসার ইনচার্জ খান মোঃ শাহরিয়ার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে আসামি নূর মোহাম্মদ সাবিরি লিটনকে সনাক্ত করে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গ্রেফতার করা হয়। অন্যান্য আসামিদেরকেও দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।

গ্রেফতারকৃত আসামি নূর মোহাম্মদ সাবিরি লিটন কুড়িগ্রাম পৌরসভা এলাকার গুয়াতিপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুর সাবের মিয়ার ছেলে। 

সিনিয়র শিক্ষক হাই সিদ্দিকীকে মারপিটের মামলার এজাহারভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন, জেলা বিএনপির সহ-ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মাসুদ রানা (৪৮),ফরিদুজ্জামান মন্ডল রুমন (৩৫),আমিনুল ইসলাম (৩৯) ও আলতাফুর রহমান (৪০)। 

তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, আব্দুল হাই সিদ্দিকী বাদী হয়ে সদর থানায় সরকারি কাজে বাধাদান, সরকারি কর্মচারীকে আক্রমণ, আঘাত ও ভয়ভীতির অপরাধের অভিযোগ এনে মামলা করেন। প্রভাবশালীদের নানা চাপ উপেক্ষা করে রবিবারের ঘটনার মামলা রেকর্ড হয় সোমবার। এরপরই আত্মগোপনরে চলে যায় আসামিরা। এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি ইতোমধ্যে ভারতে পালিয়ে গেছে বলে বিভিন্ন সূত্র জানায়।

উল্লেখ্য, গত ২২ তারিখ রবিবার দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায় কুড়িগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জিয়াসমিন আরা হক তার চেয়ারে বসে আছেন। তার অপরদিকে মাসুদ রানাসহ কয়েকজন মিলে সিনিয়র শিক্ষক আব্দল হাই সিদ্দিকীর ওপর চড়াও হন। একপর্যায়ে তাকে ধাক্কাতে ধাক্কাতে প্রধান শিক্ষকের কক্ষের কোণে নিয়ে যায়।এসময় কয়েকজন শিক্ষক মাসুদ রানাকে থামাতে চেষ্টা করলেও তিনি ওই শিক্ষকের ওপর চড়াও হন এবং আরো ধাক্কাতে থাকেন।

বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে সন্তানকে ভর্তি করা নিয়ে তথ্য-উপাত্ত নিতে এসে সিনিয়র শিক্ষক আব্দুল হাই সিদ্দিকীর উপর চড়াও হয়ে তাকে মারপিটের ঘটনা ঘটান কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির সহ-ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক এবং জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মাসুদ রানা। তিনি ভর্তি বাতিল এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক হিসাবে রবিবার দুপুরের দিকে প্রধান শিক্ষক জিয়াসমিন আরা হকের কক্ষে এ ঘটনা ঘটান। পরে এ ঘটনায় নির্যাতিত শিক্ষক বাদি হয়ে ৪জনের নাম উল্লেখ করে এবং কিছু অজ্ঞাতনামার বিরুদ্ধে কুড়িগ্রাম সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।


বিডি প্রতিদিন/নাজমুল

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর