বগুড়ায় এক মাদ্রাসা শিক্ষকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার বেলা সোয়া ১১ টার দিকে সদর উপজেলার নামুজা সরদার পাড়া এলাকায় ওই শিক্ষকের বেডরুম থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ওই শিক্ষকের নাম মাওলানা শহিদুল ইসলাম। তিনি ওই এলাকার আজিম উদ্দীনের ছেলে। শহিদুল ইসলাম স্থানীয় একটি ফাজিল মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করতেন। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।
বগুড়া সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মন্তাজ আলী জানান, দেড় বছর আগে শহিদুল ইসলামের প্রথম স্ত্রী মারা যান। মারা যাওয়ার পর থেকেই তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। পরে তিনি দ্বিতীয়বিবাহ করেন। কিন্তু তারপরেও মানসিক অসুস্থতা না কমায় তিনি চিকিৎসা গ্রহণ করছিলেন।এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, গত তিনদিন আগে তার দ্বিতীয় স্ত্রী সন্তান প্রসব করেন। এ কারণে শহিদুল ও তার স্ত্রী আলাদা কক্ষে থাকতেন। শুক্রবার সকালে তার স্ত্রী তাকে ফজরের নামাজ আদায় শেষে অন্য ঘরে যেতে দেখেন। সকাল ৮টা বাজলেও কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে ঘর খুলে তীরের সাথে গলায় মাফলার পেঁচানো অবস্থায় শহিদুলের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
এস আই মন্তাজ আলী জানান, এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা ময়নাতদন্তের পরে জানা যাবে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
নামুজা ফাজিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য আবু জাফর জানান, শহিদুল ইসলাম আরবি পড়াতেন।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল
