বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে হরিণ শিকারের অপরাধে দুই চোরা শিকারীকে আটক করেছে বনরক্ষীরা। গত শুক্রবার রাত ১১টার দিকে শরণখোলা রেঞ্জের সুপতি স্টেশনের সরাভাঙা এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। শিকারীদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় হরিণের মাথা ও হরিণ শিকারের বেশকিছু সরঞ্জাম। অভিযান চলাকালে দুই চোরা শিকারী পালিয়ে যায় বলে জানায় বনবিভাগ।
আটক শিকারীরা হলেন- রগুনার পাথরঘাটা উপজেলার খাসতারক-কাকচিরা গ্রামের রুস্তম হাওলাদারের ছেলে এমাদুল হাওলাদার (৩৮) এবং একই উপজেলার দক্ষিণ চরদুয়ানি গ্রামের মৃত আলতাফ হাওলাদারের ছেলে মোস্তফা হাওলাদার (৪৫)। পালিয়ে যাওয়া দুইজন হলেন- জাকির হোসেন ও ইউনুস মিয়া। তাদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা হয়েছে। আটক দুইজনকে শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বাগেরহাট আদালতে চালান করেছে বনবিভাগ।
সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মো. শামসুল আরেফিন জানান, রেঞ্জের সুপতি স্টেশনের সরাভাঙা এলাকার বনে গাছের মাথায় মাচা ঘর তৈরি করে সেখানে আস্তানা গড়ে হরিণ শিকার করছে একদল শিকারী। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাথরঘাটার জ্ঞানপাড়া ফরেস্ট টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে শুক্রবার রাত ১১টার দিকে অভিযান চালায় বনরক্ষীরা। এসময় দুজনকে আটক করা হয়।
তিনি আরও জানান, সুন্দরবনের গহীনে আস্তানা থেকে উদ্ধার করা হয় একটি হরিণের মাথা, একটি চাকু, একটি দা ও ১৫০ ফুট হরিণ শিকারের নাইলনের দঁড়ির ফাঁদ। অভিযান চলাকালে জাকির ও ইউনুস নামে দলের অন্য দুই চোরা শিকারী হরিণের মাংস নিয়ে ট্রলার চালিয়ে চলে যায়। এদেরকে আটকের চেষ্টা চলছে। শিকারীদের তৎপরতা বন্ধে সুন্দরবনে টহল জোরদার করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ