বালিকা বিদ্যালয় বলতে কন্যা শিশুরা পড়বে এটাই স্বাভাবিক। তবে ব্যতিক্রম কুড়িগ্রামের প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কুড়িগ্রাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। এখানে ছেলে ও মেয়ে একসাথে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করে। ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি শুধু মেয়েরা। এই ব্যতিক্রম বিদ্যালয় নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। এ বিদ্যালয়ের ১২৫ বছর পূর্তি এক বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য উদযাপিত হলো শুক্রবার ও শনিবার।
শনিবার ছিলো মূল আনুষ্ঠানিকতা। দুই দিনব্যাপী বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান ঘিরে পুরাতন-নতুন শিক্ষার্থী, শিক্ষক, বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটিসহ জেলার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা লক্ষ করা যায়। গোটা শহর ছিলো উৎসবমুখর।
বিদ্যালয়ের ১২৫ বর্ষপূর্তির দ্বিতীয় দিন শনিবার সকাল ১০টায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গন থেকে সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন রং-বেরঙের সাজে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র্যালি শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জাফর আলী (সাবেক সাংসদ)।
পরে শান্তির প্রতীক পায়রা উড়ানো ও বেলুন উড়ানো এবং কেক কাটেন যৌথভাবে কুড়িগ্রাম-২ আসনের সাংসদ পনির উদ্দিন আহমেদ এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জাফর আলী। দুপুরে বর্ষপূর্তি উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ প্রতিমা চৌধুরীর সভাপতিত্বে আমন্ত্রিত অতিথিরা বক্তব্য রাখেন। পরে সাবেক শিক্ষার্থীদের স্মৃতি রোমন্থন, খাবার বিতরণ ও বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হয়।
বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য পনির উদ্দীন আহমেদ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জাফর আলী, বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আব্দুল ওয়াহেদ মন্ডল, বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আবু মো. সাইদ হাসান লোবান ও বর্তমান প্রধান শিক্ষক আবু হোসেন সরকার প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/এমআই