বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলায় মহিলা মাদ্রাসার এক ছাত্রীকে (১৩) শ্লীলতাহানির অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। ছাত্রীর বাবা শুক্রবার রাতে থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার তালোড়া গাংবেলঘড়িয়া গ্রামের জামিয়া হানাফিয়া মহিলা মাদ্রাসার ছাত্রী (১৩) মিজান বিভাগে অধ্যয়নরত। ওই মাদ্রাসার আবাসিক ভবনে অবস্থান করে পড়াশুনা করে আসছে। ওই মাদ্রাসার মহাতামিমের বাবা গাংবেলঘড়িয়া গ্রামের মৃত জাকারিয়া আকন্দের ছেলে সাখাওয়াত হেসেন (৫৪) তার ছেলের অনুপস্থিতিতে মাদ্রাসার ছাত্রীদেরকে নানা প্রলোভনসহ উত্ত্যক্ত করে থাকে। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে মাদ্রাসার অনেক শিক্ষার্থী পড়াশুনা বাদ দিয়ে চলেও গেছে। সাখাওয়াত হোসেন এক মাস আগ থেকেই ছাত্রীর পিছনে লাগে এবং তাকে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করে আসছিল। মেয়েটি লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়টি নিয়ে কাউকে কিছু জানায়নি। ঘটনার দিন গত ২১ ফেব্রুয়ারি দুপুরে মাদ্রাসার বিরতির সময় মহাতামিম বাহিরে গেলে সুযোগ বুঝে সাখাওয়াত হোসেন তার অফিস কক্ষে প্রবেশ করে। এ সময় ওই শিক্ষার্থী (১৩) দুপুরে খাবার খেয়ে ঘুমাতে যাওয়ার সময় তাকে অফিস কক্ষে ডেকে নেয় এবং ওই শিক্ষার্থীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দেয়। এ সময় সে চিৎকার দিলে সাখাওয়াত হোসেন তাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি হুমকি দিয়ে মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে শিক্ষার্থীর বাবা নিজেই বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মামলা গ্রহণ করে রাতেই সাখাওয়াত হোসেনকে গ্রেফতার করেছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সজীব মাহমুদ জানান, গ্রেফতারকৃত সাখাওয়াত হোসেনকে শনিবার বগুড়া কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম