অপবাদ দিয়ে মাথার চুল কেটে এবং মুখে কালি দিয়ে এক কিশোরীকে নির্যাতনের ঘটনায় দিনাজপুরের বীরগঞ্জে দুই নারীকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় বুধবার রাতে কিশোরীর মা বাদী হয়ে বীরগঞ্জ থানায় ওই অভিযোগে মামলা করেছে। মামলায় ৭ জনের নাম উল্লেখ্য করে অজ্ঞাত ৫-৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বুধবার দিবাগত রাতেই অভিযান চালিয়ে পুলিশ বীরগঞ্জ উপজেলার সুজালপুর গ্রামের বড় শীতলাই গ্রামের মোঃ হাবিরের স্ত্রী মোছাঃ কুলসুম বেগম (৩৫) এবং একই এলাকার মোঃ মফিজুল ইসলাম মফিজের স্ত্রী মোছাঃ দেলজান বেগমকে ((২৬)গ্রেফতার করেছে। তবে মামলার প্রধান আসামিসহ বাকী আসামিরা পলাতক রয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, মামলার প্রধান আসামি মৃত মাহাবুর রহমানের মেয়ে মোছাঃ শারমিন মাহাবুব এর বাসায় বাদীর কিশোরী মেয়ে (১৫) দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছিল। কাজ করার এক পর্যায়ে চরিত্র হনন করে মিথ্যে দোষারোপ করে গালমন্দ করলে কিশোরী বাবার বাড়ীতে অবস্থান গ্রহণ করে। পরে একই বিষয় নিয়ে অন্যান্য আসামিরা কিশোরীকে দোষারোপ করে গালমন্দ করে। এ বিষয়ে কিশোরীর বাবা মা প্রতিবাদ করলে উভয়ের মধ্যে শক্রতার সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে গত ২ এপ্রিল সকাল আনুমানিক ১০টায় আসামিগণ কিশোরীর বাড়ীতে প্রবেশ করে কিশোরীকে মারধর করে এবং মাথার চুল কেটে দিয়ে মুখে কালি মেখে দিয়ে নির্যাতন করে। পরে আসামিগণ পরিবারের লোকজনকে হত্যাসহ বিভিন্ন হুমকি দিয়ে চলে যায়।
এ ব্যাপারে তদন্তকারী অফিসার বীরগঞ্জ থানার এসআই মোঃ আশরাফুল ইসলাম জানান, পুলিশ বুধবার রাতে অভিযান চালিয়ে মামলার দুইজন আসামিকে গ্রেফতার করেছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এ বিষয়ে বীরগঞ্জ থানার ওসি সুব্রত কুমার সরকার জানান, কিশোরীর মা বুধবার রাতে বাদী হয়ে এ ব্যাপারে বীরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। এ ব্যাপারে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে এবং দুইজনকে গ্রেফতার করেছে। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাকি আসামি দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএ