শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার রাণীশিমুল ইউনিয়নের হাঁসধরা এলাকার ধান ক্ষেত থেকে জসিম (১২) নামে এক ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। জসিম ওই ইউনিয়নের হাঁসধরা পশ্চিমপাড়া এলাকার মৃত গোলাপ মিয়ার ছেলে এবং হাঁসধরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিল। এ ঘটনায় মাসুদ (২৩) নামে একজনকে আটক করা হয়েছে।
মাসুদ জসিমদের পার্শবর্তী বিলভরট এলাকার আমিনুল ইসলামের ছেলে। স্থানীয়রা বলছে স্কুল ছাত্রের ভ্যান রিকসা ছিনিয়ে নিতে বাঁধা দিলেই শিশু জসিমকে কুপিয়ে হত্যা করে লাশ ধান ক্ষেতে ফেলে রাখে মাসুদ। হত্যার পর দিন ছিনিয়ে নেওয়া ওই ভ্যান রিকসাটি বাজারে বিক্রি করতে গেলে স্থানীয়দের সন্দেহ হলে মাসুদকে পুলিশে দেওয়া। এদিকে বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) সকালে উপজেলার রাণীশিমুল ইউনিয়নের হাঁসধরা এলাকার একটি ধান ক্ষেত থেকে সকালের দিকে জসিমের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় জসিম মায়ের পান আনতে তার বড় ভাই রুবেল মিয়ার অটোরিকশা ভ্যান নিয়ে বাড়ীর অদূরে হাঁসধরা গ্রামের বাজারে যায়।এসময় মাসুদ ফুঁসলিয়ে জসিমকে নির্জন একটি ধান ক্ষেতের দিকে নিয়ে যায় এবং জসিমের কাছে থাকা রিকশা ভ্যানটি ছিনিয়ে নেয়।এসময় জসিম জোড়াজুড়ি করলে জসিমকে হত্যা করা জয়। হত্যার পরদিনই আবার আজ ওই ভ্যান গাড়ীটি বিক্রির জন্য মাসুদ শ্রীবরদী পৌর শহরের উত্তর বাজারে আসে।এ সময় স্থানীয় এলাকাবাসীর সন্দেহ হলে জসিমের লাশ উদ্ধার ও ভ্যান হারিয়ে যাওয়ার বিষয়টি মিলে যায়।
শ্রীবরদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাঈম মোহাম্মদ নাহিদ হাসান বলেন, শিশুটির গলা ও শরীরের বিভিন্নস্থানে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের মর্গে পাঠানো হয়েছে।মাসুদ নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম