স্কুল টিফিনের জমানো টাকায় রমজান মাস জুড়েই এক টাকায় ইফতার বিতরণ করছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ইয়ুথ স্কয়ার বাংলাদেশ। গাজীপুরের অন্যতম ব্যস্ততম শ্রীপুর উপজেলার প্রাণকেন্দ্র মাওনা চৌরাস্তায় ইয়ুথ স্কয়ার বাংলাদেশ নামের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যদের চাঁদায় অসহায়, দরিদ্র, স্বল্প আয়ের সাধারণ মানুষ, পথচারী, দিনমজুর ও বিভিন্ন পেশার মানুদের মাঝে এ ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানা গেছে, প্রথম রমজান থেকে শুরু হয়ে পুরো মাসব্যাপীই চলবে এ আয়োজন। এক টাকার ইফতারে মিলছে একজনের খাবার উপযোগী মুড়ি, ছোলা, পেঁয়াজু, বেগুনি, আলুর চপ ও খেজুর। এছাড়া প্রতি শনিবার বিরিয়ানি ও ভুনা খিচুড়ি দেয়া হয়।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ইয়ুথ স্কয়ার বাংলাদেশের সভাপতি তাওসিফুল ইসলাম রিয়াদ। রিয়াদ জানান, মাওনা চৌরাস্তা খুব জনবহুল। আশপাশের এলাকার সাধারণ মানুষ বিভিন্ন কাজে এখানে আসায় ছিন্নমূল অসহায় মানুষের আনাগোনাও বেশি থাকে। এদের অনেকের সামর্থ্য নেই টাকা দিয়ে মুখরোচক ইফতার কিনে খাওয়ার। এসব মানুষের কথা চিন্তা করে পুরো রমজান মাস জুড়েই মাত্র এক টাকায় ইফতার সরবরাহ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তাই প্রতিদিন ৫০ থেকে ৬০ জনের ইফতার সামগ্রী নিয়ে আমাদের সদস্যরা আসর নামাজের পরপরই বিতরণ শুরু করে।
ইফতারের ব্যয়ের টাকাটা কিভাবে আসে? এমন প্রশ্নের উত্তরে সংগঠন ইয়ুথ স্কয়ার বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক অমিত হাসান বলেন, সংগঠনে সদস্য ৩০ জন। আমরা সবাই ছাত্র। আমাদের রমজান আসার কয়েক মাস আগেই আমরা সভা করে পরিবার থেকে স্কুলের টিফিন ও হাত খরচের টাকা বাঁচিয়ে একটি ফান্ড তৈরি করি। সেখান থেকেই এ ইফতারের আয়োজন করা হয়ে থাকি। আমাদের সব সদস্যরাই খুব আন্তরিক ভাবে আমাদের এ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে থাকে। এছাড়াও বছর জুড়েই বিভিন্ন অসহায় মানুষদের সহযোগিতা ও দরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ ইয়ুথ স্কয়ার বাংলাদেশের সদস্যরা বিতরণ করে থাকে।
সদস্য তৌসিনুল ইসলাম তাজিম জানান, যারা এখান থেকে যারা ইফতার নেন তারা অনেকেই বিনামূল্যে ইফতার নিতে চান না। তারা যাতে অস্বস্তিতে না ভোগেন তাই শুভেচ্ছা মূল্যে হিসেবে আমরা এক টাকা নির্ধারণ করেছি। এতে যিনি ইফতার নিবেন তিনি এই টাকার বিনিময়ে অনেকটাই স্বস্তি বোধ করবেন, সেই দৃষ্টিকোণ থেকেই আমরা এক টাকা ইফতার বিতরণ করছি। এতে আমরা বেশ সাড়া পেয়েছি, অনেকেই আসছেন, ইফতার নিচ্ছেন। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই আমাদের বরাদ্দ করা ইফতার শেষ হয়ে যায়, ফের আমরা ইফতার প্যাকেট করে তাদের হাতে তুলে দিচ্ছি।
বিডি প্রতিদিন/এএ