ব্যবসায়ী দ্বন্দের জেরে লালমনিরহাট সদর উপজেলায় এক কামারকে হত্যার ঘটনায় অপর কামারের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রবিবার দুপুরে লালমনিরহাট দায়রা জজ মো. মিজানুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। এসময় আসামি কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
২০১৮ সালের ২৬ অক্টোবর রাতে লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়নের শিবেরকুটি এলাকায় ধরলা নদীর তীরে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। পরদিন ২৭ অক্টোবর সকালে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের বুমকা গ্রামের নুরজামালের ছেলে মো. এরশাদ। তিনি পেশায় একজন কামার। নিহত ব্যক্তি হলেন- একই গ্রামের আব্দুল গণির ছেলে হাবিবুর রহমান হাবিব। তিনিও পেশায় কামার ছিলেন।
পুলিশ জানায়, নিহত হাবিবুর রহমান হাবিব তার বাবা আব্দুল গণিসহ বাড়িতে কামারশালায় লোহার জিনিসপত্র তৈরি করে বিভিন্ন হাট বাজারে বিক্রি করতেন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আাসামিও নিজ বাড়িতে লোহার জিনিসপত্র তৈরি করে বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রি করতেন। হাবিব এবং এরশাদের মধ্যে ব্যবসায়ীক দ্বন্দ তৈরি হয়েছিল। ২০১৮ সালের ২৬ অক্টোবর হাবিব ১০-১২ হাজার টাকা মূল্যের লোহার জিনিসপত্র বিক্রি করার জন্য কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় যান। ওইদিন রাতে বাড়ি ফেরার সময় হাবিবকে লোহার হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে লাশটি ধরলা নদীর তীরে ফেলে রাখা হয়। ঘটনার পর থেকে এরশাদ বাড়ি ছেড়ে পলাতক থাকে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে এরশাদকে ঢাকার কাওরানা বাজার থেকে গ্রেফতার করে।
লালমনিরহাট জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটার (পিপি) অ্যাডভোকেট আকমল হোসেন বলেন, ৩২ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্যপ্রমাণে আসামি এরশাদের বিরুদ্ধে হত্যার ঘটনাটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। দীর্ঘ শুনানির পর দায়রা জজ মো. মিজানুর রহমান এ মামলার রায় দেন।
বিডি প্রতিদিন/এএম