টাঙ্গাইলের সখীপুরে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাওয়ার পাঁচশত মিটার সড়ক পাকাকরণের জন্য প্রায় তিন বছর ধরে দুটি সড়কের মাটি খুঁড়ে রেখেছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের টিকুরিয়া পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শ্রীপুর মতিরবাড়ি মোড় পর্যন্ত একটি এবং ওই বিদ্যালয় থেকে খুংগারচালা বাজার পর্যন্ত অন্য আরেকটি সড়কের মাটি কেটে (বেজ কাটা) রাখা হয়েছে। এতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন স্থানীয় তিনটি স্কুলের শিক্ষার্থী ও ছয় গ্রামের সাধারণ মানুষ। ২৮ লক্ষ ৩৪ হাজার টাকা ব্যায়ে পাঁচশত মিটার সড়ক পাকাকরণের কাজের দায়িত্ব পেয়েছে এসএম জাহাঙ্গীর এন্টার প্রাইজ। কাজটি ২০২০ সালের নভেম্বর মাসের চার তারিখে শুরু করার কথা ছিলো বলে জানায় উপজেলা প্রকৌশলী অফিস।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বড়চওনা-ইন্দারজানি সড়ক থেকে টিকুরিয়া পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য দুটি সড়কে মাটি খুড়ে রাখায় সড়ক যেন খালে পরিনত হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলে সড়কের মাঝখান দিয়ে চলাচলের কোন উপায় নেই। বাধ্য হয়েই সড়কের পাশ দিয়ে পায়ে হেঁটে চলাচল করছেন এই এলাকার সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীরা।
স্থানীয়রা জানায়, এই দুই সড়ক দিয়ে জমশের নগর এসআই উচ্চ বিদ্যালয়, মুন্সিগঞ্জ মুকছেদিয়া দাখিল মাদ্রাসা, টিকুরিয়া পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা এবং শ্রীপুর, ইন্দারজানি, আশাইড়াচালা, পোড়াবাসা, ইউনূস নগর ও খায়েরমোড় এলাকার সাধারণ মানুষ চলাচল করে। দীর্ঘদিন ধরে এই সড়ক দিয়ে কোনো অটোভ্যান, সিএনজি, অ্যাম্বুলেন্স, মুরগীর খাদ্যের গাড়ি প্রবেশ করতে পারে না।
ওই এলাকার কৃষি উদ্যোক্তা সিদ্দিক হোসেন বলেন, এই এলাকার যারা কৃষি কাজ করে তাদের সবজি, লেবু, আম, কুল, ধান-চাল নেওয়া আনা খুবই ঝামেলা। এই সড়ক দিয়ে স্বাভাবিক ভাবে কেউ চলাচল করতে পারে না।
প্রধান শিক্ষক ফিরোজা আক্তার বলেন, সড়ক পাকা করা হবে এজন্য একটি ঠিকাদার দুটি সড়কের মাটি খুঁড়ে রেখেছে। বর্ষা মাসে ছেলে-মেয়েদের স্কুলে আসতে কষ্ট হয়। প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে খুংগার চালা বাজার পর্যন্ত সড়কটি দ্রুত পাকাকরণ চাই।
ঠিকাদার এসএম জাহাঙ্গীর বলেন, মূলত ওই এলাকার কিছু লোকের কারণেই দুটি সড়কের বেজ কাটা হয়েছে। এতে আমার এক লক্ষ টাকার মতো খরচ হয়েছে। সেই কাজের কোনো বিল পাইনি। তারপরেও কাজটি করবো ইনশআল্লাহ।
উপজেলা প্রকৌশলী বিদ্যুৎ কুমার দাস বলেন, দুটি সড়কের বেজ কেটে রাখা খবুই দুঃখজনক ঘটনা। ওই ঠিকাদারকে বারবার তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। সড়কটি অল্প সময়ের মধ্যেই একটি পর্যায়ে নিয়ে আসা হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল