রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাজে বাধা ও হুমকি দেয়ায় মর্ণেয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহসিন আলী মাগুড়কে গ্রেফতার করে করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে গঙ্গাচড়া উপজেলার মর্ণেয়া ইউনিয়নের তিস্তা নদী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও গঙ্গাচড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নয়ন কুমার নিজেই বাদী হয়ে ওই আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে গঙ্গাচড়া মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ জানায়, গঙ্গাচড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় তিস্তা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের খবরে গঙ্গাচড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নয়ন কুমারের নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা মঙ্গলবার দুপুরে গঙ্গাচড়া উপজেলার মর্ণেয়া ইউনিয়ন এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় তিস্তা নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে দুটি ট্রলিতে করে নিয়ে যাওয়ার সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত বালু বোঝাই দুই ট্রলি আটক করে এবং ট্রলি দুটি জব্দ করে থানায় নিয়ে যাওয়ার আদেশ দেন।
এ সময় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহসীন আলী মাগুড় ঘটনাস্থলে এসে বালু বোঝাই ট্রলি আটক করায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের কর্মকান্ডকে চ্যালেঞ্জ করে। সেই সাথে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নয়ন কুমারকে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করে এবং আটক ট্রলি ছেড়ে দেবার জন্য হুমকি ধামকি ও চাপ সৃষ্টি করে। এ সময় সরকারি কাজে বাধা প্রদানসহ অশালীন আচরণের অভিযোগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহসীন আলী মাগুড়কে গ্রেফতার করার আদেশ দিলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। সেই সাথে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার অভিযোগে বালু বোঝাই দুই ট্রলি থানায় নিয়ে আসা হয়।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) নয়ন কুমার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সরকারি কাজে বাধা দেবার অভিযোগে মোহসীন আলী মাগুড়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আমি নিজে বাদী হয়ে গঙ্গাচড়া থানায় বালু মহাল ব্যবস্থাপনা আইনের ৪ (গ) ধারা এবং সরকারা কাজে বাাধা প্রদানের জন্য দন্ডবিধি আইনের ১৮৮ ধারায় মামলা দায়ের করেছি।
গঙ্গাচড়া মডেল থানার ওসি দুলাল হোসেন বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। সেই সাথে মোহসিন আলী মাগুড়কে গ্রেফতার করা হয়েছে।