ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে মসজিদে ঢুকে নামাজরত অবস্থায় নজরুল ইসলাম (৪০) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে তারই সহোদর দুই ভাই। শুক্রবার ফজরের নামাজের সময় উপজেলার সদর ইউপির চরপুবাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত নজরুল ইসলাম ওই এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত বশির উদ্দিনের ছেলে। এদিকে ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন নিহতের দুই ভাই জাহাঙ্গীর আলম লিটন (৪৫) ও শামসুল আলম শাহীন (৩৫)।
জানা যায়, বশির উদ্দিনের চার ছেলে। কিন্তু তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। বৃহস্পতিবার রাতে এসব নিয়ে চার ভাইয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। ভোরে নজরুল ইসলাম সেহরি খেয়ে বাড়ির পাশেই মসজিদে ফজরের নামাজ পড়তে যান। ফরজ নামাজ চলাকালীন সময়ে তার দুই ভাই জাহাঙ্গীর আলম লিটন ও শামসুল আলম শাহীন তাকে পেছন থেকে কুপিয়ে জখম করে। পরে মুসলিরা তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ওই মসজিদের ইমাম মো. শামিম মিয়া জানান, মসজিদে আমরা পাঁচজন ফজরের নামাজ আদায় করতেছিলাম। ফরজ নামাজের প্রথম রাকাআতের পর রুকুতে যেতেই লিটন এসে রামদা দিয়ে কোপায়। পরে আরেক ভাই শাহিন এসে মাথায় কোপানো শুরু করে। তখন নজরুল মসজিদে পড়ে যায়। আমরা কয়েকজন বাধা দিতে চাইলে আমাদেরও আঘাত করে পালিয়ে যায়।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি পীরজাদা শেখ মোহাম্মদ মোস্তাছিনুর রহমান জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে হয়েছে। ঘটনার পর জড়িত দুই ভাই পালিয়ে গেছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ