বাংলা নববর্ষের আনন্দ ও ঈদকে সামনে রেখে শেরপুরে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে শেরপুর জেলা পুলিশের ‘জনতার পুলিশ ষ্টোর’ ও পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক)।
শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) বিকেলে শেরপুর পুলিশ লাইনে পুনাকের আয়োজন হতদরিদ্র, পথশিশু, ছিন্নমূল শিশুদের মাঝে ঈদ আনন্দ ছড়িয়ে দিতে মাত্র দুই টাকার (নামমাত্র টোকেন মূল্য) বিনিময়ে শার্ট ও গেঞ্জি দেওয়া হয়েছে। এর পরে জেলা পুলিশের জনতার পুলিশ স্টোরের আয়োজনে এক দুই টাকায় শাড়ি, লুঙ্গি, চাউল, আলু, তেল, লাচ্ছা সেমাই ও চিনি বিক্রি করা হয়। একই দিনে লাল ফিতা কেটে পুলিশের ওই নতুন “জনতার পুলিশ ষ্টোরের” উদ্বোধন করা হয়। দুই সংগঠন থেকে অন্তত পাঁচ শতাধিক মানুষ এই সামগ্রী পেয়েছে।
পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বলেছেন সাহায্য দিয়ে ওদের ছোট করা হয়নি। নাম মাত্র মূল্যে গরীব মানুষ কিনে নিয়েছে। পুলিশের বেতনের একটি অংশ থেকে এই দান কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
এই আয়োজনকে মহতী উল্লেখ করেছেন এই সামগ্রী বিতরণের প্রধান অতিথি ময়মনসিংহ অঞ্চলের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য। পুনাকের ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ময়মনসিংহ পুনাক উপদেষ্টা ডিআইজি পত্নী মধুছন্দা ভট্টাচার্য। সভাপতিত্ব করেন শেরপুর পুনাক সভানেত্রী শেরপুর পুলিশ সুপার পত্নী সানজিদা হক মৌ। শিশুরা ১ টাকার বিনিময়ে ঈদ সামগ্রী ও পোষাক পেয়ে অনেক আনন্দ পেয়েছে।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) মো. সোহেল মাহমুদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ সাইদুর রহমানসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাবৃন্দ।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল