৮ মে, ২০২৩ ১৪:৩২

কুমিল্লায় যুবলীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা: গ্রেফতার আরও ৩

কুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লায় যুবলীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা: গ্রেফতার আরও ৩

পুলিশের মাঝে গ্রেফতারকৃত আসামিরা

কুমিল্লার দাউদকান্দির গৌরিপুরে যুবলীগ নেতা জামাল হোসেনকে বোরকা পরে গুলি করা ব্যক্তিদের শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের নাম-পরিচয়ও জানা গেছে। শুটাররা কেউ দেশে আছেন, কেউ বিদেশে পালিয়ে গেছেন।

সোমবার কুমিল্লা পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান তার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। গত দুই দিন র‌্যাব ও পুলিশ তিনজন করে মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে। তবে এই আসামিরা বোরকা পরে গুলি করা তিনজনের বাইরে।

পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান জানান, নতুন গ্রেফতার ব্যক্তিরা এ ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত, তবে এজাহারভুক্ত আসামি নয়। উদ্ধার করা হয়েছে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত গাড়ি, একটি বোরকা ও জুতা।

গ্রেফতারকৃতরা হলো- তিতাসের জিয়ারকান্দি গ্রামের মো. রবি (৩৩), একই গ্রামের মো. শাহ পরান (৩২) ও হাইস গাড়ি চালক লালপুর গ্রামের মো. সুমন হোসেন (২৭)। 

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান জানান, হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার স্থান গৌরিপুর বাজার থেকে শুরু করে তিতাসের জিয়ারকান্দি পর্যন্ত সবগুলো স্থানের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হয়েছে। বোরকা পরা অস্ত্রধারীরা যে গাড়িতে করে গৌরিপুর আসেন এবং পালিয়ে যান, সে হায়েস গাড়ির চালক সুমনকে নারায়ণগঞ্জের মদনপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়। সুমনের তথ্যমতে তার চান্দিনার ভাড়া বাসার সামনে থেকে হায়েস গাড়িটি জব্দ করা হয়। তার বাসা তল্লাশি করে দুই জোড়া জুতা ও ঘটনার সময় তার পরিহিত ট্রাউজার উদ্ধার করা হয়।  অপর দুই আসামি শাহপরান ও রবিকে ঢাকার মালিবাগ চৌধুরীপাড়া থেকে গ্রেফতার করা হয়। শাহপরান ঘটনার আগে ও পরে ঢাকা থেকে আসামিদের সাথে যোগাযোগ করে। তাদেরকে আত্মগোপনে যাওয়ার বিষয়ে সহযোগিতা করে। শাহপরান মামলার এজাহারভুক্ত পলাতক ৮ নম্বর আসামি অলি হাসানের ভায়রা। অপর আসামি রবি ৯ নম্বর এজাহারভুক্ত আসামি কালা মনিরের ভাই। তিনি ঘটনাস্থলের আশেপাশে থেকে আসামিদের পালিয়ে যেতে সহায়তা করেন। তার দেওয়া তথ্যমতে একটি বোরকা ও হিজাব (নেকাব) উদ্ধার করা হয়। সুমন ছাড়া বাকি দুই আসামির বিরুদ্ধে একটি করে মামলা রয়েছে। 

পুলিশ সুপার আরও জানান, এ ঘটনায় বহু আসামির সম্পৃক্ততা রয়েছে। তদন্তে অনেকের নাম বেরিয়ে আসছে। যে তিনজন শুটার, তাদের পরিচয় তদন্তের স্বার্থে এখনই বলা যাচ্ছে না। পুলিশের পাশাপাশি অন্যান্য সংস্থা জড়িতদের শনাক্তে কাজ করছে। আমরা র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার তিনজন ও আমাদের হাতে গ্রেফতার তিনজনের সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করব।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ)  আশফাক হোসেন, সহকারী পুলিশ সুপার ( সদর সার্কেল) কামরান হোসেনসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।

বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর