লক্ষ্মীপুরে স্ত্রী শারমিন আক্তারের (২৬) লাশ সদর হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রবাসফেরত স্বামী মো. সুমনের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে স্বামী সুমন ও শাশুড়ি মনি বেগম পলাতক রয়েছে। সোমবার দুপুরে হাসপাতালের ৪র্থ তলায় স্ত্রীর মরদেহ রেখে স্বামী সুমন হাসপাতাল ছেড়ে আত্মগোপন করেন।
এর-আগে, সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের (৮নং ওয়ার্ড) পূর্ব চরমনসা গ্রামের জাব্বুলা মাঝিতে গৃহবধূ শারমিন নির্যাতনের শিকার হন বলে দাবী করেন পরিবার। শারমিন ওই বাড়ীর মৃত মিলন হোসেনের ছেলে সুমনের স্ত্রী ও একই উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের (৭নং ওয়ার্ড) শরীফপুর গ্রামের ফজল মিস্ত্রি বাড়ীর তোফায়েলের মেয়ে।
তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো. নরুল আমিন জানান, প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে আমরা জেনেছি যে, আমের আচার দেওয়াকে কেন্দ্র করে বৌ-শ্বাশুড়ির মধ্যে তর্কবিতর্ক ও হাতাহাতির খবর পেয়েছি।
হাসাপাতালে গৃহবধূর লাশ দেখতে এসে স্বজনরা গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, সকালে পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামী সুমন ও শাশুড়ী মনি বেগম গৃহবধূ শারমিনকে মারধর করে। একপর্যায়ে শারমিন অচেতন হয়ে পড়লে, তার স্বামী তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় শারমিন মারা যান। তার মৃত্যুর পর থেকে স্বামী সুমন পালিয়ে যায়। স্বজনরা এ ঘটনায় বিচার দাবি করেন। শারমিন ও সুমনের সংসারে ৭ বছর বয়সী উম্মে তাইয়েবা নামে এক কন্যা সন্তান রয়েছে বলে জানান তারা।
বিডি প্রতিদিন/এএম