ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় ভোলার নদী তীরবর্তী মাছ ঘাটগুলোতে সতর্কীকরণ মাইকিং করা হচ্ছে। শুক্রবার সকাল থেকে ভোলার মেঘনা নদীর তীরে মাছঘাট, জেলে পল্লীতে মাইকিং করেছে কোস্টগার্ড দক্ষিণ টহল বাহিনীর সদস্যরা।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবিলায় প্রস্তুতি সভা করেছে ভোলা জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি। সভায় মোখা মোকাবিলায় তিনস্তরের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।
উপকূলীয় জেলা ভোলায় ৭৪৬টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া ৭ উপজেলার নদী তীরবর্তী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। দুর্যোগের পূর্বাভাস আসামাত্রই উপকূলে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। জেলায় ৮টি কন্ট্রোল রুম খোলার পাশাপাশি সিপিপি ও রেড ক্রিসেন্ট এর ১৪ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে ৯২টি মেডিকেল টিম এবং গবাদি পশুর জন্য ২১টি ভেটেনারি টিম। দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলায় ৩৫০ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুদ রাখা হয়েছে। দুর্যোগ পরবর্তী জরুরি ত্রাণ বাবদ নগদ ৮ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এছাড়া ১৬৪ বান্ডিল ঢেউটিন এবং শুকনো খাবার মজুদ রয়েছে। পাশাপাশি জেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩৪৪ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টে ইতিমধ্যে জিও ব্যাগ ফিলটারের মাধ্যমে মেরামত কাজ চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাসানুজ্জামান।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল