বগুড়ার জনপ্রিয় প্রেক্ষাগৃহ মধুবন সিনেপ্লেক্স চার বছরের মধ্যেই লোকসানের কারণে স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) থেকে আর চালু থাকছে না এ হল। বৃহস্পতিবার রাতে মধুবন সিনেপ্লেক্সের স্বত্বাধিকারী রোকনুজ্জামান ইউনূস গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
১৯৭৪ সালে শাবানা, ওয়াসিম অভিনীত ও ইবনে মিজান পরিচালিত ডাকু মনসুর সিনেমা দিয়ে মধুবনের যাত্রা শুরু হয়। প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন ব্রিটিশ আর্মির অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট এ এম ইউনূস। তাঁর ছেলে আর এম ইউনূস রুবেল পরবর্তীতে ২০২১ সালের ১৫ অক্টোবর মধুবনকে সিনেপ্লেক্সে রূপান্তরের উদ্যোগ নেন। আধুনিকায়নের পর ৩৩৬ আসনের এ হলে পরাণ, হাওয়া, প্রিয়তমা, তুফান ও বরবাদ ছবিগুলো রমরমা ব্যবসা করেছিল। বরবাদ ছবির জন্য একাধিক মিডনাইট শো-ও চালানো হয়েছিল।
তবে ঈদ ছাড়া দেশীয় সিনেমা দর্শক টানতে পারছে না। বিদেশি সিনেমা প্রদর্শনের অনুমতি না থাকায় লোকসান বেড়েই চলেছে।
রোকনুজ্জামান ইউনূস বলেন, “মধুবন অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখছি। মাসের পর মাস লোকসান খাচ্ছি। বৃহস্পতিবারই ছিল শেষ দিন। এই সপ্তাহে নন্দিনী ছবিটি চালাচ্ছিলাম, কিন্তু দর্শক পাইনি। ছবি চালানোর খরচই ওঠে না। সবশেষে তাণ্ডব এর পর আর কোনো ব্যবসাসফল সিনেমা আসেনি। বিদ্যুৎ বিল বাকি, কর্মচারীদের বেতন নিজেদের পকেট থেকে দিতে হচ্ছে। তাই আমরা আর পারছি না।”
তিনি আরও জানান, কবে আবার মধুবন চালু হতে পারে সে বিষয়ে এখনই কিছু বলতে পারছেন না।
বিডি প্রতিদিন/আশিক