রংপুর ও আশপাশ এলাকায় গত এক সপ্তাহে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কমেছে ৫ ডিগ্রী সেলয়িাসের বেশি। অথচ এক সপ্তাহ আগেও তাপদাহে জনজীবন উষ্ঠাগত ছিল। এদিকে বৃষ্টিপাতের ফলে জনজীবনে কিছুটা স্বস্থি এলেও নদীপাড়ের মানুষের দুশ্চিন্তা বাড়ছে। তিস্তা-ধরলাসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও এখন বিপৎসীমার নিচে রয়েছে।
জানা গেছে, গত শনিবারও রোদের তাপে সবাই একটু ছায়ার জন্য পাগল ছিল। অনেকে মসজিদে নামাজ শেষে মেঝেতেই শুয়ে পড়ছেন ক্লান্তি কাটানোর জন্য। মাঝারি তাপপ্রবাহের কারণে জনজীবনে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছিল মারাত্মক। এর পর থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে শুরু করে। শুরু হয় বৃষ্টি। বৃষ্টিপাতের ফলে প্রকৃতি কিছুটা শীতল হয়। মানুষের মনের মাঝে স্বস্তি আসে। আমন চাষিদের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে। বৃষ্টি হওয়ায় সেচের বাড়তি খরচ কিছুটা কমে কৃষকদের। ভোরে কিছুটা শীত অনুভূত হচ্ছে। সব মিরিয়ে প্রকৃতিতে একটা পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
এদিকে আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বেলা ৩ টায় সর্বোচ্চ থাপমাত্রা ছিল ৩০ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং সর্ব নিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। অথচ গত ১২/১৩ সেপ্টেম্বর তাপমাত্রা ছিল ৩৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসের ঘরে। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় গরমের পরিবর্তে কিছুটা শীত অনুভূত হচ্ছে এই অঞ্চলে।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে রংপুর বিভাগের সকল প্রধান নদ-নদীসমূহের পানি সমতল বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীসমূহের পানি সমতল স্থিতিশীল আছে। রংপুর বিভাগের তিস্তা ও দুধকুমার নদীসমূহের পানি সমতল গত ২৪ ঘণ্টায় হ্রাস পেয়েছে। অপরদিকে ধরলা নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল রয়েছে। নদীসমূহের পানি সমতল আগামী ২৪ ঘণ্টায় বৃদ্ধি পেতে পারে। এ সময়ে তিস্তা নদী লালমনিরহাট, নীলফামারি, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলায় সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে। তবে পানি সমতল ২য় ও ৩য় দিন হ্রাস পেতে পারে।
এদিকে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি গত ২৪ ঘণ্টায় স্থিতিশীল আছে ও যমুনা নদীর পানি গত ২৪ ঘণ্টায় বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব নদ-নদীসমূহের পানি আগামী ৫ দিন বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল