টাঙ্গাইলের সখীপুরে অবৈধ করাত কলের মালিক মনে করে বন কর্মকর্তার ভুল মামলায় কারাগারে গেলেন শ্রবণ প্রতিবন্ধী শহিদুল ইসলাম (৩৫) নামের এক দিনমজুর। সোমবার রাতে কালিহাতী উপজেলার পাইকপাড়া গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে সখীপুরের সাপিয়াচালা এলাকার জামাল হোসেনের করাত কলের অনিয়মিত একজন দিনমজুর এবং কালিহাতী উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের ছোমেদ আলীর ছেলে। বন কর্মকর্তার এ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে প্রকৃত অপরাধী ও অবৈধ করাত কল মালিকের শাস্তি দাবি করছেন ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
মামলা সূত্রে জানা যায়, অবৈধ করাত কল স্থাপন ও পরিচালনার দায়ে শহিদুল ইসলামের নামে মামলা হয়েছে। প্রকৃত পক্ষে সে কোন করাত কলের মালিক নয়। সে একজন দিনমজুর এবং শ্রবণ প্রতিবন্দী হয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত মানুষ হিসেবে চিনে ওই এলাকাবাসী।
সরজমিনে গেলে ওই এলাকার স্থানীয়রা জানায়, শহিদুল একজন দিনমজুর। মাঝেমধ্যে জামালের করাত কলে কাজ করতো, সে কোন করাত কলের মালিক না। আসল মালিককে বাঁচিয়ে শহিদুলকে ফাঁসানো হয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক।
শহিদুলের মামা হাবিবুর রহমান বলেন, কানে শুনেনা, কামলা দিয়ে খায় আমার অসহায় ভাগিনা শহিদুলকে পুলিশে ধরে নিয়ে গেছে। মামলা খাওয়ার কথা করাত কলের মালিক জামাল, কিন্তু শহিদুল কিভাবে মামলায় পড়লো বুঝলাম না। জামালের মেয়ের জামাই কায়েস ফরেস্টারদের সাথে আন্দি অফিসে থাকে, আমাগো ধারণা সে তার শ্বশুরকে বাঁচাতে গিয়ে শহিদুলের নামে মিথ্যা মামলা দিছে। এই মিথ্যা মামলার বিচার চাই।
কালিহাতী থানার এএসআই মো. হামিদুল ইসলাম বলেন, বন আইনের মামলায় শহিদুলকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছ। গত ৭ তারিখে ওর নামে ওয়ারেন্ট আসছে। সোমবার ওকে গ্রেফতার করে মঙ্গলবার সকালে আদালতে পাঠিয়েছি।
মামলার বাদী ও কাকড়াজান বিট কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, এখন এ বিষয়ে কিছু বলা সম্ভব না, আর আমার অনেক কিছু মনে নেই।
বহেড়াতৈল রেঞ্জ কর্মকর্তা এ কে এম আমিনুর রহমান বলেন, কায়েস আমাদের অফিসে লেখালেখির কাজ করে, তবে সে স্থায়ী কোন কর্মচারী বা কর্মকর্তা না।
বিডি প্রতিদিন/এএ