১ জুন, ২০২৩ ১৬:৪৪

চাবি হারানোর অভিযোগে বিদ্যালয়ের ক্লাস বন্ধ দুই দিন, প্রধান শিক্ষকসহ দুই শিক্ষককে প্রত্যাহার

ভাঙ্গা প্রতিনিধি

চাবি হারানোর অভিযোগে বিদ্যালয়ের ক্লাস বন্ধ দুই দিন, প্রধান শিক্ষকসহ দুই শিক্ষককে প্রত্যাহার

ভাঙ্গা পৌরসভার চৌধুরীকান্দা সদরদী মহল্লায় অবস্থিত চৌধুরীকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের সাথে সহকারী শিক্ষকদের বিরোধকে কেন্দ্র করে বিদ্যালয়টিতে অচল অবস্থা বিরাজ করছে। বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের চাবি হারানোর অজুহাতে গত মঙ্গলবার ও বুধবার (৩০ ও ৩১ মে) বিদ্যালয় বন্ধ ছিল। কোনো ক্লাস হয়নি। অনিয়মের অভিযোগে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রিমা আক্তার ও সহকারী শিক্ষক কলি আক্তারকে বৃহস্পতিবার বিদ্যালয় থেকে প্রত্যাহার করে উপজেলা শিক্ষা অফিসে সংযুক্ত করা হয়েছে।

বিদ্যালয়টিতে বর্তমান কর্মরত পাঁচ শিক্ষকের বিরুদ্ধেই বিভাগীয় তদন্ত সাপেক্ষে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছেন ভাঙ্গা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ হয়। বর্তমানে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করছে। ৫ জন শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের সাথে সহকারী ৪ শিক্ষকের বিরোধকে কেন্দ্র করে বিদ্যালয়ের শ্রেণি পাঠের অচলঅবস্থা বিরাজ করছে। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার (৩০ মে) বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষগুলোর তালার চাবি না পাওয়ার অভিযোগে পর পর দু-দিন বিদ্যালয়ের ক্লাস বন্ধ থাকে। এরপর দুই শিক্ষককে প্রত্যাহার করা হয়।  বৃহস্পতিবার (১ জুন) থেকে ৩ শিক্ষক দিয়ে বিদ্যালয়ের শ্রেণি পাঠ  কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়।

স্থানীয়রা জানান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রিমা আক্তার বিদ্যালয়ের দায়িত্ব কর্তব্য যথায ভাবে পালন করছিলেন না। কোনো নিয়ম নীতি তোয়াক্কা করতেন না। ইচ্ছামতো বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করতেন। বিদ্যালয়ের পড়া-লেখার মান উন্নয়নের দিকে তার খেয়াল ছিল না। 

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রিমা আক্তার বলেন, আমার বিরুদ্ধে শিক্ষিকারা এক জোট হয়ে চাবি লুকিয়ে রেখেছিল। যাতে আমি ক্লাসরুম খুলতে না পারি।

এ বিষয়ে ভাঙ্গা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহসীন রেজা বলেন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের সাথে সহকারী অপর চার শিক্ষকের বিরোধকে কেন্দ্র করে বিদ্যালয়টিতে সমস্যা হয়েছে। পরস্পরের প্রতি অবিশ্বাস ও ব্যক্তিগত ঈর্ষার কারণে বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা প্রতিষ্ঠানে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। গত মঙ্গলবার চাবি হারানোর খবর পেয়ে আমি তালা ভেঙ্গে শিক্ষকগণকে ক্লাস নিতে নির্দেশ দেই। কিন্তু তারা ক্লাস নেননি। এ ঘটনার সাথে বিদ্যালয়ের ৫ শিক্ষকেরই জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। ৫ জনকে দোষী করেই ফরিদপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর বিভাগীয় প্রতিবেদন দাখিল করেছি। ঘটনার সাথে অধিকতর জড়িত থাকার অভিযোগে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও সহকারী একজন শিক্ষককে বিদ্যালয় থেকে প্রত্যাহার করে উপজেলা শিক্ষা অফিসে সংযুক্ত করেছি।  

বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর