২ জুন, ২০২৩ ১৩:৩৫

হারিয়ে যেতে বসেছে পাহাড়ের মৃৎ শিল্প

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি

হারিয়ে যেতে বসেছে পাহাড়ের মৃৎ শিল্প

হারিয়ে যেতে বসেছে পাহাড়ের মৃৎ শিল্প

খাগড়াছড়িতে আধুনিকতার যাতাকলে পড়ে হারিয়ে যেতে বসেছে মৃৎ শিল্প। ফলে মানবেতর জীবনযাপন করছে এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত পরিবারগুলো।

খাগড়াছড়ি পৌর সভার শালবন এলাকার ভিসি হিল কালিমন্দির এলাকায় দেখা মেলে অনিল রৌদ্র ও তার স্ত্রী নেলু রৌদ্রের সাথে। বৃহস্পতিবার তাদের সাথে আলাপকালে জানা যায়,১৯৮৮ সাল থেকে এ পরিবার মাটির কলসি, হোঁকাসহ নানা জাতের মাটির পণ্য তৈরি করে জীবিকা র্নিবাহ করে আসছে। তাদের মতো আরও দুটি পরিবার রয়েছে নীরব রৌদ্র ও মনিন্দ্র রৌদ্রের। সকলেই এখন অর্থনৈতিক কষ্টে  মানবতার জীবনযাপন করছে। তারা জানান, প্লাস্টিকের নানা পণ্য এখন হাতের মুঠোয়।  ফলে মাটির তৈরি তৈজসপত্রের এখন আর কদর নেই। কিন্তু বাপ দাদার পেশা ছাড়তে না পারায় দুঃখ-কষ্টে জীবনযাপন করছেন তারা।

অনিল রৌদ্র জানান, সমাজ সেবা অফিসে গিয়েছিলাম ভাতা পাওয়ার জন্য কিন্তু কাজ হয়নি। 

তিনি জানান, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে বাপ-দাদার পেশাটা টিকিয়ে রাখতে পারতাম। পৌর শহরে দু ’একটি মাটির পণ্যের দোকান আছে। অনিল রৌদ্র তাদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিয়ে মাটির জিনিসপত্র তৈরি করছেন। মাটি, লাকরি, বিদ্যুৎ সব কিছুর দাম বাড়তি। 

পৌর সমাজসেবা র্কমর্কতা নাজমুল আহসান  জানান ,বরাদ্দ আসলে রৌদ্র পরিবারকে  আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। এছাড়া খাগড়াছড়ি শিঙ্গিনালা এলাকায় কয়েকটি মৃৎ শিল্পের পরিবার রয়েছে। তাদেরও একই অবস্থা।

বিডি প্রতিদিন/কালাম

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর