১০ জুন, ২০২৩ ১৬:৪১

স্বস্তির বৃষ্টিতে ভিজল পাহাড়

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি

স্বস্তির বৃষ্টিতে ভিজল পাহাড়

এক পশলা বৃষ্টিতেই স্বস্তি ফিরেছে পাহাড়ে। তীব্র দাবদাহ আর পানি সংকটে অতিষ্ট পাহাড়বাসী এখন বৃষ্টিতে উচ্ছ্বসিত। সবুজে ভরে উঠেছে পাহাড়। খরায় মরে যাওয়া ছড়া ও ঝর্ণাগুলোতেও ফিরেছে প্রাণের স্পন্দন।

গতকাল শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫টা শুরু হয় বৃষ্টি। শনিবারও চলছে সেই বরষা ধারা। এভাবে টানা বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে পাহাড়ে যেমন দাবদাহ কমবে, তেমনি দূর হবে পানি সংকট বলছেন স্থানীয়রা।
 
রাঙামাটি অবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মো. হুমায়ন কবির বলছেন, মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। তেমন ভারী বৃষ্টি পাত না হলেও , অব্যাহত থাকবে গুঁড়ি গুঁড়ি ও মাঝারি বৃষ্টি। এখন পর্যন্ত ১২.৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। মৌসুমী বায়ুর কারণে আকাশে মেঘ জমেছে। গরমও কমে আসতে পরে।
 
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, টানা খরা আর বৃষ্টিপাত বন্ধ থাকার কারণে পার্বত্যাঞ্চলে শুকিয়ে যায় পাহাড়ি ছড়া, ঝর্ণা ও নদী। তীব্র হয়ে ওঠে পানি সংকট। শুধু তাই নয়, প্রাকৃতিক ভারসাম্য হারায় পাহাড়। তীব্র গরমে অতিষ্ট হয়ে ওঠে পাহাড়বাসী। পানি সংকটের কারণে যেমন স্থবির হয়ে পরে চাষাবাদ। তেমনি স্থবির হয়ে পরে মানুষের দৈনন্দিন জীবনের কাজ। শুকনো ছড়ার অস্বাস্থ্যকর পানি পান করে এরই মধ্যে রাঙামাটির সাজেকে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে প্রায় সাড়ে চার শতাধিক মানুষ। নৌ পথেও বন্ধ হয়ে যায় উপজেলাগুলোতে যোগাযোগ। ধস নামতে থাকে স্থানীয়দের ব্যবসা বাণিজ্যে। 

স্থানীয় নমিতা বালা চাকমা জানান, রাঙামাটির পানি সংকট আসলে ভয়াবহ ছিল। পাহাড়ি পল্লীগুলোতে পানির সংকট তীব্র হয়ে উঠেছিল। ছড়া শুকিয়ে গেছে, ঝর্ণাও মরে গেছে। কোথাও পানি নেই। কমে গেছে কাপ্তাই হ্রদের পানির স্তর। তাছাড়া দীর্ঘদিন বৃষ্টিও হয়নি। মানুষ পানি কোথায় পাবে। দৈনন্দিন কাজের পানি তো নেই। নেই খাবার পানিও। তাই তো মানুষ অসুস্থ হচ্ছে। এখন বৃষ্টি হলে মানুষ পানি সংগ্রহ করতে পারবে।

একই ভাবে বৃষ্টি দেখে উচ্ছ্বসিত রেনু বালা চাকমা। তিনি বলেন, আমার মনে হয়েছিল এভাবে আর কিছুদিন বৃষ্টি না হলে পাহাড়ে দুর্ভিক্ষ হয়ে যেত পানির জন্য। এখন সৃষ্টিকর্তার কৃপাই পানি পাচ্ছি বৃষ্টি থেকে। 


বিডি প্রতিদিন/নাজমুল

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর