বগুড়ায় নিখোঁজের আড়াই মাস পর এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে কাহালু উপজেলার শিবাকলমা গ্রাামের জমির মধ্যে পুঁতে রাখা অবস্থায় এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে কাহালু ও সদর থানা এলাকা থেকে এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতাররা হলেন, কাহালু উপজেলার শিবাকলমা গ্রামের বিপুল চন্দ্র প্রামাণিক (৩৫), দিনেশ চন্দ্র প্রামানিক (৪১) এবং উৎপল চন্দ্র (২৪)। এসময় মুক্তিপণ দাবি করার কাজে ব্যবহৃত মোবাইল ও সিম উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বগুড়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( প্রশাসন) স্নিগ্ধ আখতার জানান, গত ১২ এপ্রিল শিবাকলমা গ্রামের অনীল চন্দ্র সরকারের ছেলে বিধান চন্দ্র সরকার (২০) নিখোঁজ হন। ওই দিন নিখোঁজ বিধানের বাবা এ ব্যাপারে কাহালু থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন।
তিনি আরো জানান, আসামিরা বিধানের পূর্ব পরিচিত। তারা বিধানের বাবার কাছ থেকে টাকা আদায়ের জন্য বিধানকে আটকের পরিকল্পনা করে। সে অনুযায়ী গত ১১ এপ্রিল সন্ধ্যার পর কাহালু থানার শিবাকলমা গ্রামের সীমান্তবর্তী ভাদাখাল নামক একটি জনশূন্য এলাকায় বিধানকে নিয়ে যায়। সেখানে পৌঁছে তারা একসাথে মদ্য পান করে। বিধান নেশাগ্রস্থ হলে উৎপল তার সাথে কথা বলতে থাকে এবং দিনেশ পিছন থেকে বিধানের মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে। এতে বিধান মাটিতে পড়ে গেলে উৎপল আবার হাতুড়ি দিয়ে তাকে আঘাত করতে থাকে। আঘাতের ফলে বিধান পাশের ডোবায় পড়ে গেলে আসামিরা তাকে পানিতে মাথা চেপে ধরে মৃত্যু নিশ্চিত করে। এরপর তারা লাশ গোপন করার জন্য পাশের জমিতে বিধানকে পুঁতে রাখে। এই ঘটনার দেড় মাস পার হয়ে গেলেও কেউ কোন কিছু বুঝতে না পারায় তারা মুক্তিপণ আদায়ের জন্য বিধানের বাবাকে মুঠোফোনের মাধ্যমে ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে বিধানের বাবা বিষয়টি পুলিশকে জানালে পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে আসামিদের গ্রেফতার এবং তাদের দেয়া তথ্যানুযায়ী মরদেহ উদ্ধার করে।
বগুড়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি সাইহান ওলিউল্লাহর নেতৃত্বে একটি দল খুনের রহস্য উদঘাটনের জন্য মাঠে কাজ শুরু করেন। গত বৃহস্পতিবার খুনের ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আসামিদের নিয়ে আরও আলামত উদ্ধারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল