বরগুনার পাথরঘাটার চরদুয়ানী ইউনিয়নের মাছেরখাল হাফেজিয়া মাদ্রাসার হেফজ শ্রেণির শিক্ষার্থী সিয়ামকে(১২) ১৯ ও ২০ জুন রাতে শেকল দিয়ে বেঁধে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সিয়ামের অভিভাবক সালমা সুলতানা (ফুপু) বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, শৈশব থেকেই বাবা-মা সিয়ামকে তার কাছে রেখে ঢাকায় কাজ করছেন। ছয় বছর বয়স থেকে এই মাদ্রাসায় পড়াশোনা করছে সিয়াম। তিনি ২-৪ দিন পর মাদ্রাসায় গিয়ে ভাতিজাকে দেখে আসেন।
২১ জুন সকালে মাদ্রাসায় গিয়ে সিয়ামকে দেখতে না পেয়ে শিক্ষকদের নিকট জানতে চাইলে তারা কিছু জানেন না বলে জানান এবং এক পর্যায়ে সালমা সুলতানার সাথে খারাপ আচরণ করেন। তিনি বলেন, স্থানীয় কয়েকজন জানানিয়েছেন সিয়ামকে মসজিদের পিলারের সাথে শেকল দিয়ে বাঁধা অবস্থায় তারা দেখেছেন।
সালমা সুলতানা আজ রবিবার পাথরঘাটা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সন্মেলনে অভিযোগ করেন, পড়া না পারায় সিয়ামকে মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ আল-আমিন, ও তত্ত্বাবধায়ক মাসুম বিল্লাহ, শিক্ষক আবু দারদা শিকল দিয়ে বেধে নির্যাতন করেন। কয়েকজন দেখে ফেললে ২০ জুন রাতে তাকে ছেড়ে দেওয়ার পর থেকে সিয়াম নিঁখোজ রয়েছে।
পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ আলম বলেন, আমরা এব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। শিশুটির সন্ধানে তৎপরতা চলছে।
এব্যাপারে অভিযুক্ত মাদ্রাসার তত্ত্বাবধায়ক মাসুম বিল্লাহ এবং শিক্ষক হাফেজ আল-আমিন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, শেকল দিয়ে বেঁধে রাখা এবং শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ অসত্য। বুধবার ফজরের আজানের সময় ও পালিয়ে গেছে। ইতোপূর্বেও এভাবে পালিয়ে গেছে বলেও তারা দাবি করেন।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল