বজ্রপাত প্রতিরোধ, পরিবেশ সুরক্ষা ও গ্রামীণ জীবনে তালগাছের বহুমুখী গুরুত্ব তুলে ধরে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় তালগাছের চারা ও বীজ বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে বসুন্ধরা গ্রুপের সামাজিক ও মানবিক সংগঠন বসুন্ধরা শুভসংঘ এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বজ্রপাতে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় তালগাছ রোপণ কার্যক্রম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তালগাছ প্রাকৃতিকভাবে বজ্রনিরোধক হিসেবে কাজ করে। এ ছাড়া তালগাছ পরিবেশ রক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণসহ নানা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
তালগাছ শুধু বজ্রপাত প্রতিরোধেই নয়, এর নানা ব্যবহার গ্রামীণ জীবনকে সমৃদ্ধ করেছে। তালের রস থেকে তৈরি হয় সুস্বাদু পিঠা, পায়েস, গুড় ও মিছরি। তালের ফল গ্রামীণ মানুষের খাদ্যতালিকায় প্রাচীনকাল থেকেই জনপ্রিয়। আবার তালগাছের পাতা দিয়ে তৈরি হয় মাদুর ও পাখা, আর কাণ্ড ব্যবহার হয় আসবাবপত্র ও গৃহস্থালির কাজে। তালগাছের ডালে বাবুই পাখি বাসা বেঁধে থাকে—যা গ্রামীণ জীবনের সৌন্দর্যে এক অনন্য মাত্রা যোগ করে।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা শুভসংঘ ধর্মপাশা উপজেলা শাখার উপদেষ্টা মো. বকুল মিয়া, সভাপতি সেলিম আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক মো. বজলু মিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রিপন মিয়া, আবিদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ইমাম হোসেন, অর্থ সম্পাদক নজির হোসেন, দপ্তর সম্পাদক মো. মেহেদী হাসান, নারীবিষয়ক সম্পাদক আসমা আক্তার, নারীবিষয়ক সহ সম্পাদক মিতু আক্তার, প্রচার সম্পাদক মনির হোসেন, শিক্ষা ও পাঠ্যচক্রবিষয়ক সম্পাদক আজিজুর রহমান, আপ্যায়নবিষয়ক সম্পাদক মো. জহিরুল ইসলাম, কার্যকরী সদস্য উজ্জ্বল সরকার।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি নেতা আব্দুল সালাম, প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ের অফিস সহকারী রতন সরকার প্রমুখ।
বসুন্ধরা শুভসংঘ ধর্মপাশা উপজেলা শাখার সভাপতি সেলিম আহম্মেদ বলেন, ‘তালগাছ শুধু বজ্রপাত থেকে জীবন রক্ষার মাধ্যমই নয়; এটি পরিবেশ ও জলবায়ুর ভারসাম্য রক্ষায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। একসময় বাংলার গ্রামে-গঞ্জে প্রচুর তালগাছ দেখা যেত, কিন্তু ক্রমে তা হ্রাস পাচ্ছে। তাই নতুন প্রজন্মকে তালগাছ রোপণ ও পরিচর্যায় উৎসাহিত করতে হবে। এই কর্মসূচি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ ও সবুজ পরিবেশ উপহার দেবে।’
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ