আসন্ন ঈদ উপলক্ষে সড়কে যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা। রবিবার দুপুরে নেত্রকোনার শ্যামগঞ্জ বিরিশিরি সড়কের পূর্বধলা উপজেলার চৌরাস্তায় অবরোধ করে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
সম্প্রতি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফরিদুজ্জামান রিফাত নিহতের ঘটনায় সহপাঠী ও সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে এ সকল কর্মসূচি পালন করেন তারা। পরে উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ৯ দফা দাবি উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
মানববন্ধন ও অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন ও প্রতীকী লাশ হয়ে সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। দেড় ঘণ্টা ধরে চলা অবরোধে অবশেষে নয় দফা দাবি আদায়ে আশ্বস্ত করায় এবং এক সপ্তাহের মধ্যে দাবি পূরণের বিষয়ে আশ্বাস প্রদানের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জাহিদ প্রিন্স, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহ শিবলী সাদিক ও পূর্বধলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ঘটনাস্থলে উপস্থিতিতে বিক্ষুব্ধরা আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেয়।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা ৯ দফা দাবি হলো, পুরো মহাসড়কে রোড ডিভাইডার স্থাপন করা, ওভারলোডিং স্কেল চালু করা, ড্রাইভিং লাইসেন্সবিহীন গাড়ি চালানো বন্ধ করা, শ্যামগঞ্জ-বিরিশির মহাসড়কে থ্রি হুইলার নিষিদ্ধকরণ বাস্তবায়ন করা, নির্দিষ্ট দূরত্ব পর পর পুলিশ বক্স স্থাপন করা এবং সার্বক্ষণিক তদারকি করা, সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বালুবাহী ট্রাক চলাচল নিষিদ্ধকরণ, ভেজা বালুবাহী ট্রাক চলাচল নিষিদ্ধকরণ ও বাস্তবায়ন করা, বালুবাহী ট্রাক চলাচলের সময় তা ঢেকে পরিবহন নিশ্চিত করা ও নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা।
বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন নিহত রিফাতের ভাই আরিফুজ্জামান আরিফ, পূর্বধলা উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি বদরুল আলম ঝুমন, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোনতাসির মাসুদ খান ফাহিম, স্বপন চন্দ্র সরকার, পূর্বধলা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি হৃদয় খান নাঈম, সাধারণ সম্পাদক ইশরাক আহমেদ তাইফ, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব সাজু আহমেদসহ অনেকেই।
বিডি প্রতিদিন/এমআই