পাবনার সাঁথিয়ায় ষড়যন্ত্রের চেষ্টায় গোপন বৈঠক চলাকালে থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৯ জন জামায়াত-শিবির নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার ও ৭টি ককটেল উদ্ধার করেছে।
থানা পুলিশের দায়েরকৃত এজাহার সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে সাঁথিয়া পৌরসভাধীন ‘সাঁথিয়া বালিকা দাখিল মাদরাসার’ ভেতরে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের চেষ্টায় গোপন বৈঠক চলছে। এ সংবাদ পেয়ে থানার এসআই ইয়ামিন আলী সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দেখতে পান ৫০/৬০ জন জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীরা গোপন বৈঠক করছে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বৈঠক থেকে উঠে অনেকেই দৌড়ে মাদরাসার প্রাচীর টপকিয়ে পালিয়ে যায়।
এ সময় উপজেলার হলুদঘর গ্রামের আলীমুদ্দিনের ছেলে আলাউদ্দিন (৩৯), আয়নুল হকের ছেলে মেহেদি হাসান (২৮), মাছখালি গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে আব্দুল করিম (৫০), নন্দনপুর গ্রামের মৃত মাইদুল হকের ছেলে আলী মর্তুজা (৪৩), করমজা মল্লিকপাড়া গ্রামের শাকের আলীর ছেলে হারুন অর রশিদ (৫১), মরিচপুরান গ্রামের সাদেক প্রামানিকের ছেলে শরিফুল ইসলাম (৩২), করমজা সরদারপাড়া গ্রামের মুত্তালিব মোল্লার ছেলে ড. মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ (৪৭), শহীদনগর বাবুপাড়া গ্রামের সামাদ শেখের ছেলে রোস্তম শেখ (৩২), বেড়া উপজেলার শানিলা সাহাপাড়া গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ (৪০) কে গ্রেফতার করে এবং সভাস্থল থেকে প্লাস্টিকের ব্যাগের মধ্যে রক্ষিত লাল কসটেপ দ্বারা মোড়ানো ৭টি ককটেল উদ্ধার করে। এ ঘটনায় আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সাঁথিয়া উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা মোখলেছুর রহমান জানান, গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের তাদের নিজ নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। গোপন বৈঠকের কোন ঘটনা ঘটেনি।
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল জানান, গ্রেফতারকৃতরা সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে ক্ষতিকর ও অন্তর্ঘাতমূলক কার্য সম্পাদনের জন্য গোপন বৈঠক করছিল। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বুধবার পাবনা আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম