আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের ভারত সীমান্ত পর্যন্ত চালানো হয়েছে ‘গ্যাংকার’। বিশেষ আকৃতিতে নির্মিত ইঞ্জিন ‘গ্যাংকার’ নামে পরিচিত। মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ১২টায় আখাউড়া গঙ্গাসাগর স্টেশন থেকে একটি হপার (পাথরবাহী বগি) নিয়ে রওয়ানা হয় সাড়ে ১২টার দিকে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের জিরো পয়েন্টে গিয়ে পৌঁছে। এসময় গ্যাংকারে করে প্রকল্প পরিচালসহ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এবং রেলওয়ের কর্মকর্তারা কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন। মূলত পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচলের প্রস্তুতি হিসেবে গ্যাংকার চালানো হয়েছে।
এসময় টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের কান্ট্রি হেড (বাংলাদেশ) শরদ শর্মা বলেন, রেলপথ নির্মাণ কাজ শেষ হয়ে গেছে। এর উপর গাড়ি চলা শুরু হয়েছে। আমাদের কাজ ছিল রেলপথ নির্মাণ করা আমরা করেছি। স্টেশন বিল্ডিংসহ অন্যান্য কাজও প্রায় শেষ। যত দ্রুত সম্ভব মালবাহী ও যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হবে। দুই দেশের সরকার এর উদ্বোধন করবেন।
প্রকল্প পরিচালক মোঃ আবু জাফর মিয়া বলেন, আমরা আজকে কাজের অগ্রগতি দেখতে গ্যাংকার দিয়ে সীমান্ত পর্যন্ত এসেছি। শতকরা ৯৫ ভাগ কাজ শেষ হয়ে গেছে। বিল্ডিংয়ের কিছু ফিনিশিং কাজ বাকি আছে। আশা করছি, এ মাসের মধ্যেই ইঞ্জিন দিয়ে ট্রায়াল রান করতে পারবো। যাতে পরবর্তীতে ট্রেনের ট্রায়াল রান করা যায়। তিনি বলেন, মূলত ট্যাক কন্ডিশন দেখার জন্য গ্যাংকার নিয়ে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত এসেছি। ট্র্যাক ঠিক আছে কিনা, এলাইমেন্ট ঠিক আছে কিনা। আজ বুধবার রেলভবনে একটি সভা হবে। সভায় উদ্বোধনের বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচলের প্রস্তুতি হিসেবে গ্যাংকার চালানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে জুলাই মাসে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার গঙ্গাসগর থেকে ভারতের আগরতলার নিশ্চিন্তপুর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। সাড়ে ১০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের বাংলাদেশ অংশে পড়েছে সাড়ে ৬ কিলোমিটার রেলপথ। বাংলাদেশের অংশের নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ২৪১ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশের রেলওয়ের সঙ্গে এ রেলপথ সংযুক্ত হবে। এতে দুই দেশের বাণিজ্য ও সংযোগ বৃদ্ধি পাবে বলে বলা হচ্ছে। আগামী সেপ্টেম্বরে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী এই রেলপথ উদ্বোধনের কথা রয়েছে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান আহমেদ তারেক, আইডব্লিউ মিঠুন সরকার।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল