যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে কমতে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ১১ সে.মি কমে বিপদসীমার ১১ সে.মি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি কমলেও দুর্ভোগ ও ভাঙন কমেনি।
এখনো জেলার পাঁচটি উপজেলার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত রয়েছে। কিছু কিছু বসতভিটা থেকে পানি নামলেও অনেক বসতভিটা তলিয়ে রয়েছে। সারাক্ষণ পানিত থাকায় পানিবাহিত রোগ দেখা দিচ্ছে। বন্যার পানিতে প্রায় এক হাজার হেক্টর জমির রাপা আমন, বোনা আউস, রোপা আমনের বীজতলা (স্থানীয় জাত), কলা, আখ ও সবজিসহ বিভিন্ন ধরনের ফসল তলিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়াও গোখাদ্যের সংকটও দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে পানি কমলেও ভাঙন কমেনি। যমুনার অরক্ষিত অঞ্চল শাহজাদপুর উপজেলার পাঁচিল, এনায়েতপুর থানার ব্রাহ্মনগ্রাম ও চৌহালী উপজেলার ভুতের মোড় এবং কাজিপুর উপজেলার তেকানীসহ চরাঞ্চলে তীব্র ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন ভাঙ্গনে বিলীন হচ্ছ বসতভিটা ও ফসলি জমি। বন্যা কবলিতদের জন্য ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় থেকে ৪০ মে.টন চাল বরাদ্দ দেয়া হলেও তালিকা সম্পন্ন না হওয়ায় এখনো ত্রাণ সামগ্রী তাদের ঘরে পৌঁছেনি।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহববুুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি ১১ সে.মি কমেছে। দুই একদিনের মধ্যে বিপদসীমার নীচে পানি নেমে যাবে। পানি কমলেও ভাঙ্গন না কমায় জিওব্যাগ ফেলে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম