বগুড়ার নন্দীগ্রার উপজেলার ৩৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে নেই প্রধান শিক্ষক। সহকারী শিক্ষকের পদও শূন্য পড়ে আছে ২৭টি বিদ্যালয়ে। এসব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন সহকারী শিক্ষক। তারাও প্রশাসনিক কাজে ব্যস্ত থাকায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, একটি পৌরসভাসহ উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ১০৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ৩৮টি প্রধান শিক্ষক ও ২৭টি সহকারী শিক্ষকের পদ দীর্ঘদিন থেকে শূন্য রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ১২ হাজার। ওইসব বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদটি শূন্য থাকায় সহকারী শিক্ষক দায়িত্ব পালন করছেন। ভারপ্রাপ্ত ওই প্রধান শিক্ষক বেশির ভাগ সময়ই প্রশাসনিক কাজে ব্যস্ত থাকায় যথাযথভাবে পাঠদান করাতে পারেন না। ফলে একদিকে যেমন শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। অন্যদিকে শিশুদের লেখাপড়া মারাত্মকভাবে বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে। এতে কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীরা সব দিক থেকে পিছিয়ে পড়ছে।
একাধিক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জানান, প্রধান শিক্ষক যেভাবে দাফতরিক কাজগুলো করেন সেগুলো তাদের পক্ষে করা সম্ভব হয়ে উঠে না। দাফতরিক কাজে ব্যস্ত থাকায় তারা শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করতে পারছেন না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও কোনও উদ্যাগ নেওয়া হচ্ছে না। এছাড়া প্রধান শিক্ষক না থাকায় অন্য শিক্ষকদের ওপর চাপ পড়ে, তাদের বেশি ক্লাস নিতে হয়। এতে করে ওই শিক্ষকদের হিমশিম খেতে হয়। পাশাপাশি অনেক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রতি বছর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষক অবসরে যাচ্ছেন। আবার অনেকে মারাও গেছেন।
উপজেলার গুলিয়াকৃষ্ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম জানান, আমার বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এ কারণে ক্লাস রুটিনের নির্ধারিত ক্লাস নেয়ার পাশাপাশি ভারপ্রাপ্ত হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হয়।
নন্দীগ্রাম উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ফজলুল হক জানান, এই উপজেলায় প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক মিলে ৬৫জন শিক্ষকের পদ শূন্য আছে। চলতি দায়িত্ব ও ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব দিয়েই চালানো হচ্ছে এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম। পদ শূন্যের বিষয়টি শিক্ষা অধিদফতরে পাঠানো হয়েছে। দ্রুতই এই সমস্যা সমাধান হবে।
বিডি প্রতিদিন/কালাম